আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবারই আমেরিকা থেকে দিল্লিতে আনা হয়েছে মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী চক্রী তাহাউর রানাকে। আপাতত রানার ঠাঁই হয়েছে দিল্লিতে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)-এর সদর দপ্তরে। ছোট একটি কুঠুরিতে কড়া সুরক্ষায় রয়েছে ভারতের ২৬/১১ হামলায় জড়িত এই হাই-প্রোফাইল সন্ত্রাসবাদী। জানা গিয়েছে, মাত্র ১৪ ফুট বাই ১৪ ফুট মাপের কুঠুরিতেটি সর্বক্ষণ সিসিটিভির নজরদারিতে রয়েছে। এছাড়ও ওই সেলর বাইরে সার্বক্ষণ প্রহরী পাহাড় দিচ্ছে।
এই কুঠুরিতেটি সিজিও কমপ্লেক্সে এনআইএ ভবনের নীচের তলায় রয়েছে। তাহাউর রানা রয়েছে বলে ওই কুঠুরিকে আপাতত দুর্গে পরিণত হয়েছে। বাইরে অতিরিক্ত দিল্লি পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে বৃহস্পতিবার রাতে রানার আগমনের আগে থেকেই পাতিয়ালা হাউস আদালত প্রাঙ্গণে কাউকেই ছাড়পত্র ছাড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, এমনকি সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদেরও নয়।
জঙ্গি রানার কুঠুরিতে বহু-স্তরীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা লাগানো হয়েছে। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে চলছে সিসিটিভি ক্যামেরা নজরদারি। কেবলমাত্র ১২ জন মনোনীত এনআইএ অফিসার সেখানে প্রবেশের অনুমতিপ্রাপ্ত। কুঠুরির মাটিতে একটি বিছানা রয়েছে এবং কুঠুরির ভেতরে একটি শৌচালয় রয়েছে। সমস্ত মৌলিক চাহিদা - খাবার, পানীয় জল, চিকিৎসার ব্যবস্থা কুঠিরির ভেতর জঙ্গির কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
৬৪ বছর বয়সী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তাহাউর রানা বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি প্রত্যর্পণ বিমানে দিল্লিতে পৌঁছান। কয়েক ঘন্টা পরে, তাকে পাতিয়ালা হাউসে একটি বিশেষ এনআইএ আদালতে হাজির করা হয়। সেই সময়ে আদালত কক্ষ থেকে সমস্ত অপ্রয়োজনীয় কর্মীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিশেষ এনআইএ বেঞ্চের বিচারক চন্দর জিৎ সিং সন্ত্রাসবাদী রানার ১৮ দিনের এনআইএ হেফাজত মঞ্জুর করেনয তবে এনআইএ অনুরোধ করেছিল তারা ২০ দিন তাহাউরকে বেফাদতে রাখতে চায়। কিন্তু, বিচারক রানার ১৮ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।
আইনি পরামর্শ ছাড়াই হাজির হয়ে রানাকে বিচারক জানান যে, দিল্লি আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাকে আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে অ্যাডভোকেট পীযূষ সচদেবকে তার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নিযুক্ত করা হয়।
শুক্রবার থেকে, রানাকে নাগাড়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ডুয়েল ক্যামেরা নজরদারির অধীনে তার জিজ্ঞাসাবাদ চলবে। রানার জবাব রেকর্ড করা হবে। সূত্রের খবর, রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এবং গোয়েন্দা সংস্থা আবেদন করেছে।
