আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের পাঁচদিন পরেই স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করেন সোনম রঘুবংশী। প্রেমিক রাজের সঙ্গে ক্যাফেতে বসে খুনের ছক কষেন। ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল সোনমের। রাজা রঘুবংশীকে খুনের পর ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গেও সময় কাটিয়েছিলেন তিনি!
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ১১ মে বিয়ে হয় রাজা ও সোনমের। ২০ মে মধুচন্দ্রিমার জন্য মেঘালয়ের উদ্দেশে রওনা দেন। ২৩ মে রা রাজাকে খুন করা হয়। জানা গেছে, সেদিন রাজা রঘুবংশীকে খুনের পরে ১১ কিলোমিটার দূরে সোনমকে দেখা গিয়েছিল। সেখানে তিন ভাড়াটে খুনির সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। আকাশকে নিজের রেইনকোট দিয়েছিলেন। সেই রেইনকোট পাওয়া গিয়েছিল খুনের জায়গার ৬ কিলোমিটার দূরে। এগুলো পুলিশকে আরও ধোঁয়াশায় ফেলে দিতেই সোনম করেছিলেন।
জানা গেছে, রাজাকে খুন করার পর, সেদিনই গুয়াহাটিতে পৌঁছন সোনম। তারপর ট্রেন ধরে মধ্যপ্রদেশ পৌঁছন। ২৫ মে ইন্দোর পৌঁছে রাজের সঙ্গে দেখা করেন সোনম। সেখানে সোনমের থাকার জন্য হোটেলের ব্যবস্থা করে দেন রাজ। সেই হোটেলেই ছিলেন সোনম। তার পাশেই আরেকটি হোটেলে ছিলেন রাজ। পরদিন একটি গাড়ি ভাড়া করে তাঁকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হয়।
৮ জুন গভীর রাতে সোনম গাজিপুরে একটি ধাবায় পৌঁছে ভাইকে ফোন করেছিলেন। সেদিন রাতেই তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। জ্বর হওয়ায় শারীরিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন সোনম। পুলিশ জানিয়েছে, মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে কোনও ছবি তোলেননি সোনম। কিন্তু ২৩ মে রাতে রাজার সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, সাত জন্মের সঙ্গী তাঁরা!
