আজকাল ওয়েবডেস্ক: চারদিকে ভাইরাস আতঙ্ক। এরই মাঝে আশার কথা শোনালেন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি আড্ডা। তিনি নাগরিকদের জানালেন এই নিয়ে চাপ নেওয়ার কিছু নেই। একইসঙ্গে দেশের নাগরিকদের শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। 

 

 

তিনি এদিন উল্লেখ করেন, ২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাসটি শনাক্ত করা গিয়েছিল। তাই এই ভাইরাস নতুন করে মানুষের শরীরে বাসা বাঁধছে এমন নয়। শুধু ভারতেই না, সারা বিশ্বেই এই ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে। এই ভাইরাসের উপদ্রব থেকে বাঁচতে নাড্ডা একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন জনগণের উদ্দেশ্যে। তাতে বলেছেন, সরকার সক্রিয়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

 

 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই এইচএমপিভি ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি বাচ্চা থেকে বুড়ো সব বয়সের ব্যক্তিদের প্রভাবিত করতে পারে। তবে শীতকালে এবং বসন্তের শুরুতে ভাইরাসটি বেশি ছড়ায়। 

 

 

ইতিমধ্যেই কর্ণাটক এবং গুজরাটের তিনজন শিশু এই ভাইরাসের শিকার হয়েছে। এরপরই নাড্ডা এই নিয়ে বিবৃতি দেন। ভাইরাসটির প্রথম উদ্ভব হয়েছিল চিনে। তারপর সেটি ছড়াচ্ছে ভারতে। ভাইরাল প্যাথোজেনটি সমস্ত বয়সের ক্ষেত্রে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণ হিসাবে পরিচিত।

 

 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এদিন এটাও বলেছেন, আইসিএমআর (ICMR) এবং ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভিলেন্স প্রোগ্রাম (IDSP) এর মাধ্যমে শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস ডেটার পর্যালোচনা করা হচ্ছে। কিন্তু ভারতে শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাল প্যাথোজেনের কোনও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি চোখে পড়ছে না। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই। পুরো বিষয়টার ওপর খেয়াল রাখছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। যাতে এই ভাইরাসের কবলে পরে মানুষের সমস্যা না হয় তা দেখা হচ্ছে।