আজকাল ওয়েবডেস্ক: চিনে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)-এ আক্রান্তের সংখ্যা। মালয়েশিয়াতেও ছড়িয়েছে এই রোগ। তা নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারতেও দু'টি শিশু আক্রান্ত হয়েছে এই ভাইরাসে। তার পরেই বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ’ (আইসিএমআর)। 

সোমবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ''ভারত-সহ অন্যান্য দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এইচএমপিভি-এর সঙ্গে সম্পর্কিত শ্বাসকষ্টজনিত রোগের ঘটনা বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া যাচ্ছে। দেশে এখনও পর্যন্ত ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগ বা গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার ঘটনা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়নি।''

সোমবারই বেঙ্গালুরুতে এইচএমপিভি-তে আক্রান্ত দুই শিশুর হদিশ মিলেছে। একটি তিন মাসের শিশুকন্যা এবং একটি আট মাসের শিশু। তিন মাসের শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অপর শিশুটি এখনও চিকিৎসাধীন। দু'টি ঘটনাই ধরা পড়েছে বেঙ্গালুরুর ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে। দু'টি বাচ্চার কেউই সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশভ্রমণে যায়নি।

দেশে এইচএমপিভি-র পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র সঙ্গে যৌথভাবে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।  আইসিএমআর সারা বছর এই দিকে নজর রাখবে বলে জানানো হয়েছে।  কর্নাটক এবং মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যেই এইচএমপিভি নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে। কেরল সরকার গর্ভবতী মহিলাদের মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে। কেন্দ্রের তরফ থেকে দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শও দিয়েছে।

২০০১ সালে প্রথম আবিষ্কার হয় হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস বা এইচএমপিভি। চিনে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। মূলত ১৪ বছর বয়সের নীচের শিশু এবং বয়স্করা এতে আক্রান্ত হচ্ছেন। ভাইরাসের প্রকোপে প্রচুর মানুষ হাসপাতালমুখী হচ্ছেন। গত বছর ৩২৪ জন এইচএমপিভি-তে আক্রান্ত হয়েছিলেন চিনে। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যাটি ছিল ২২৫।  যদিও চিনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে এইচএমপিভি নতুন কিছু নয়। এর উপসর্গ অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো। এটিকে শুধুমাত্র ‘শীতকালীন সংক্রমণ’ বলেই ব্যাখ্যা করছে চিন। ভিড় এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিন সরকারের তরফ থেকে।