আজকাল ওয়েবডেস্ক: এবার থেকে সমস্ত রেস্তোরাঁ, ধাবা, ফুড স্টলের সাইনবোর্ডে মালিকের নাম, ফোন নম্বর, ঠিকানা উল্লেখ করতেই হবে। যোগী আদিত্যনাথের উত্তর প্রদেশের পর এবার কংগ্রেস শাসিত হিমাচল প্রদেশেও জারি হল এই নিয়ম। খুব দ্রুত এই নিয়ম কার্যকর করা হবে। সামনেই উৎসবের মরশুমে। এই পরিস্থিতিতে এই ধরনের নির্দেশিকা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দুই রাজ্যেই। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হিমাচল প্রদেশের বিধানসভার স্পিকার কুলদীপ সিং পাঠানিয়া সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন। মঙ্গলবার ওই কমিটির তরফেই ঘোষণা করা হয়, দ্রুত এই নির্দেশিকা সকলের কাছে পৌঁছে যাবে। পাশাপাশি হকারদের জন্য আইডি কার্ড দেওয়া হবে। 

 

দিন কয়েক আগেই অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু অভিযোগ করেন, তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি, মাছের তেল ব্যবহার করা হত। যা সম্প্রতি বিভিন্ন রিপোর্টেও ধরা পড়েছে। এই ঘটনার পরেই উত্তরপ্রদেশে সোমবার সমস্ত রেস্তোরাঁর সাইনবোর্ডে মালিকের নাম, ঠিকানা উল্লেখের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এর একদিন পরেই হিমাচল প্রদেশেও একই নির্দেশ জারি করা হল। 

 

প্রসঙ্গত, চলতি বছর কানওয়ার যাত্রার আগে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের সমস্ত দোকানে মালিকের নাম ও ফোন নম্বর উল্লেখ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পুণ্যার্থীরা যাতে সহজে হিন্দু মালিকের দোকান চিনতে পারেন, তার জেরেই এমন পদক্ষেপ বলে কটাক্ষ করেছিল বিরোধীরা। এর কয়েক মাস পর এক ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল দুই রাজ্যে।