আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'অপারেশন সিঁদুর'-এর পর পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে শোরগোল ফেলেছিলেন পাক রাজনীতিবিদরা। সেই হুমকি যে কতটা ভুয়ো তার প্রমাণ মিলল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ-র বিস্ফোরক স্বীকারোক্তিতে। সানাউল্লাহ-র দাবি, 'অপারেশন সিঁদুর'-এর সময়ে পাকিস্তানে ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল। এরপ ইসলামাবাদ মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড সময় পেয়েছিল! তার মধ্যেই পাক বাহিনীকে ভাবতে হয়েছিল যে ভারতের ছোঁড়া ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রে পরমাণু আছে কিনা বুঝতে। 

এক পাক সংবাদ মাধ্যমে সানাউল্লাহ বলেছেন, "যখন ভারত নূর খান বিমানঘাঁটিতে ব্রহ্মোস ক্ষেপনাস্ত্র ছুঁড়েছিল, তখন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কাছে সেই ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে কিনা তা বিশ্লেষণ করার জন্য মাত্র ৩০-৪৫ সেকেন্ড সময় ছিল। মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই বিপজ্জনক ছিল, তখন ভয়াবহ পরিস্থিতি ছিল।"

ওই ঘটনার পর পারমাণবিক যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে দাবি করেছেন সানাউল্লাহ। 

পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর 'অপারেশন সিন্দুর'-এর সময় ভারত একাধিক পাকিস্তানি বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায়। ভারতীয় বায়ু সেনার হামলায় একাধিক পাক রানওয়ে, হ্যাঙ্গার এবং ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা পাকিস্তানের জন্য বিরাট ক্ষতি। স্যাটেলাইট ছবিতে সারগোধা, নূর খান (চাকলালা), ভোলারি, জ্যাকোবাবাদ, সুক্কুর এবং রহিম ইয়ার খানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি নজরে পড়েছে। 

ভারত নূর খানে এইবারই প্রথম হামলা চালায়নি। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময়, ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) ২০ স্কোয়াড্রন তাদের হকার্স হান্টার দিয়ে বিমান ঘাঁটি নিশানা করেছিল।

ভারতীয় সেনাবাহিনী লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি), জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর একাধিক শিবির ধ্বংস করে এবং 'অপারেশন সিন্দুর'-এর সময় ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গিকে হত্যা করে।

ভারতের রাতভর অভিযানের পর, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যেগুলো সফলভাবে প্রতিহত করা হয়। এরপর ভারত পাকিস্তানি ভূখণ্ডের গভীরে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। চার দিন ধরে সীমান্ত পার হয়ে তীব্র ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দুই দেশ তাৎক্ষণিকভাবে সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায়।