আজকাল ওয়েবডেস্ক: গিগ কর্মীদের জন্য যে ঘোষণা বাজেটে করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সেইমতো কাজ করা শুরু হয়ে গেল। যারা আরবান কোম্পানি, জোমাটো, ব্লিনকিট এবং আঙ্কেল ডেলিভারিতে কাজ করেন তাদের সরকার নাম ধীরে ধীরে ই শ্রম পোর্টালে তোলার কাজ শুরু হয়ে গেল। কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই পোর্টাল শুরু করা হয়েছে। এখানে সমস্ত গিগ কর্মীরা নিজেদের নাম তুলতে শুরু করে দিয়েছেন।


যদিও ২০২১ সাল থেকে এই পোর্টালটি চালু ছিল। তবে সেখানে তেমনভাবে সকলের নাম ছিল না। সেদিক থেকে দেখতে হলে কেন্দ্রীয় বাজেটের পরই সেখানে সকলের নাম তোলা শুরু হয়ে গিয়েছে। গিগ কর্মীরা যাতে সঠিকভাবে নিজেদের সামাজিক সুরক্ষা পান সেদিকে নজর রাখতেই দ্রুত সকলকে নাম তোলার কাজটি করতে বলা হয়েছে।


গিগ ওয়ার্কাররা এবার ইপিএফএ-র অন্তর্গত হতে চলেছেন। কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দ্রুত এবিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে। গিগ ওয়ার্কাররা যাতে পেনশনের সুবিধা পেতে পারেন সেটি নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই খবর। 


এই সিদ্ধান্তের ফলে গিগ কর্মীরা অনেকটাই বাড়তি সুবিধা পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এখানই শেষ নয় গিগ কর্মীদের প্রধানমন্ত্রী আরোগ্য যোজনার অন্তর্গত হবেন বলেও খবর এসেছে। ২০২৫-২৬ বাজেটে এবিষয়ে ইতিমধ্যে ঘোষণা করে দিয়েছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। 

 


জানা গিয়েছে গিগ ওয়ার্কারদের সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করার জন্য এই পেনশনের দিকটি চালু করা হচ্ছে। যাতে অবসরকালে তারা নিজেদের জীবনকে নিশ্চিন্তে কাটাতে পারেন সেদিকে জোর দিতেই এই পদক্ষেপ। বর্তমান অর্থনীতিতে গিগ ওয়ার্কাররা অনেকটাই নিজেদের ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাই অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সকলের একটি পরিচয়পত্র দিতে চায়। এটি ই শ্রম পোর্টালে থাকবে। এবিষয়ে নীতি আয়োগ আসরে নামবে বলেও মনে করা হচ্ছে। 


যে সংস্থায় কোনও কর্মী কাজ করবেন, সেই সংস্থাকেই বলা হবে যাতে তারা পারিশ্রমিকের একটা অংশ কেটে তা এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম-এ জমা করে। এর ফলে একদিকে যেমন ভবিষ্যতে এই কর্মীরা আর্থিক সুরক্ষা পাবেন, তেমনই সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তাঁদের অবদানও স্বীকৃত হবে।
এক্ষেত্রে অবশ্য কাজের জোগান দেওয়া সংস্থাগুলি যাতে ৩ থেকে ৪ শতাংশের বেশি পারিশ্রমিক কাটতে না পারে, সেটাও নিশ্চিত করবে কেন্দ্রীয় সরকার। টাকা কাটার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ঊর্ধ্বসীমা ধার্য করা হবে।