আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাহাড়ি রাস্তায় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। গভীর খাদে গড়িয়ে পড়ল যাত্রীবাহী বাস। গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই একের পর এক যাত্রীর মৃত্যু ঘটনাস্থলে। আহত আরও অনেকে। এখনও পর্যন্ত বাস দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাসটিতে ২৮ জন যাত্রী ছিলেন। সোমবার তেহরি জেলায় নরেন্দ্র নগর এলাকায় কুঞ্জাপুরি- হিন্দোলাখাল সড়কের কাছে গভীর খাদে যাত্রীবাহী বাসটি উল্টে পড়ে। রাস্তা থেকে ছিটকে ৭০ মিটার গভীর খাদে গড়িয়ে পড়ে বাসটি। তাতেই একের পর এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, উদ্ধারকাজ এখনও জোরকদমে চলছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাঁচটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, বাসটিতে ৩০ থেকে ৩৫ জন যাত্রী ছিলেন। ঘটনাস্থলে পাঁচ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। আহতদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকেরই শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, বাসের যাত্রীরা উত্তরাখণ্ডের বাইরের বাসিন্দা হতে পারেন। তাঁদের নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, 'নরেন্দ্র নগর এলাকায় কুঞ্জপুরী মন্দিরের কাছে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় শোকাহত। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের ঋষিকেশ এইমস-এ ভর্তি করা গেছে।' 

প্রসঙ্গত, গতকাল উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। বিয়েবাড়িতে তুমুল হুল্লোড়। নাচগানে মেতেছিলেন সকলে। বাড়ি ফেরার পথেই ঘটল বিপত্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে উল্টে পড়ল গাড়ি। ঘটনাস্থলে মর্মান্তিক পরিণতি তিন শিক্ষকের। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক শিক্ষক। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে খয়রনা-কাইঞ্চিধাম রুটে রাতিঘাটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি গাড়ি। পাহাড়ি রাস্তায় ৬০ মিটার গভীর খাদে গাড়িটি পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি। দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের নাম, সঞ্জয় বিষ্ট, সুরেন্দ্র ভাণ্ডারী ও পুষ্কর ভাইসোরা। আহত ব্যক্তির নাম মনোজ কুমার। তাঁরা প্রত্যেকেই আলমোড়ার বাসিন্দা। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী ও উদ্ধারকারী দল। গাড়িটিতে থাকা চারজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মনোজ কুমার আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

নৈনিতালের পুলিশ সুপার জগদীশ চন্দ্র জানিয়েছেন, 'শনিবার রাতে স্থানীয়দের থেকে আমরা জানতে পারি খৈরনা-কৈঞ্চিধাম রুটের রতিঘাটে একটি গাড়ি গভীর খাদে পড়ে গেছে। ওই চারজনই সরকারি স্কুলের শিক্ষক। আলমোরা থেকে তাঁরা হালদওয়ানিতে যাচ্ছিলেন। এক বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তিন শিক্ষকের।'