আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্রে সম্প্রতি এক হাড়হিম কাণ্ড। শহরের নানদেদ জেলার গোলেগাঁও এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। খবর অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডটি  অবৈধ প্রেম ঘটিত কারণে ঘটেছে। এহেন মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের খবর সামনে আসতেই এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে অভিযোগ উঠেছে, এক বিবাহিত যুবতী ও তাঁর তথাকথিত প্রেমিককে হত্যা করেছে পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সম্মান রক্ষা করতে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে যুবতীর পরিবারের সদস্যরা। যুগলের এহেন চরম পরিণতিতে চমকে উঠেছে দেশ। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত যুবতীর বাবা তাঁর বিবাহিত মেয়ে এবং তাঁর প্রেমিককে পিটিয়ে হত্যা করেছে৷ পরবর্তীতে তাঁদের মৃতদেহ একটি গভীর কূপে ফেলে দেয়। ঘটনার সূত্রপাত মেয়ের অবৈধ প্রেম থেকে। 

স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে সোমবার অর্থাৎ ২৫ অগাস্ট। জানা গিয়েছে যুবতীর প্রেমিক তাঁর প্রেমিকার শ্বশুরবাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে সেসময় ওই প্রেমিক যুগল একটি আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েন। যুবতীর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাবাকে খবর দেন। খবর পেয়ে যুবতীর বাবা এবং আরও দুই আত্মীয় গোলেগাঁওয়ে এসে পৌঁছান।

জানা গিয়েছে, শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে সব ঘটনা জানার পর যুবতীর বাবা ও আত্মীয়রা ওই যুবতী এবং তাঁর প্রেমিককে নির্মমভাবে মারধর করে। এমনকী মারধরের সময় ওই যুবতীর স্বামীও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। প্রচণ্ড মারধরের কারণে ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে পুরো ঘটনা লোকাতে তাঁদের মৃতদেহ অদূরে একটি গভীর কূপে ফেলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ রাস্তা পরিষ্কারে এবার ঝাঁটা হাতে বিদেশিরা, হাঁ করে দেখলেন শহরবাসী, লজ্জায় মুখ লুকোচ্ছে পৌরসভা

ঘটনার খবর পাওয়ার পর ভোকার এলাকার উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা আর্চনা পাটিল, মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তা দশরথ পাটিল এবং পুলিশ পরিদর্শক অঙ্কুশ মানে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এরপর পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়। প্রথমে পরিবারের সদস্যরা গোটা ঘটনা অস্বীকার করলেও, পরে পুলিশ জোরাজুরি করলে স্বীকার করে৷ এরপর শুরু হয় তল্লাশি৷ পরে নিহত সঞ্জীবনীর মৃতদেহ রাতে কূপ থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশ জানিয়েছে যুবতীর প্রেমিক লখন ভান্ডারের মৃতদেহ রাত পর্যন্ত খুঁজেও পাওয়া যায়নি। তল্লাশি জারি রয়েছে৷ 

আরও পড়ুনঃ শহরে ফের ভাষা নিয়ে হেনস্থা, শিশু সহ পরিবারকে ঘিরে ধরল, মুম্বইয়ে চরম উত্তেজনা...

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই নিহত যুবতীর বাবা, স্বামীসহ পরিবারের আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সকলকে। বর্তমানে পুরো ঘটনার পেছনে মূল কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ দ্রুত এর জেরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ হেলমেট নেই মাথায়, বেপরোয়া বাইকের ট্যাঙ্কে বসে প্রেমিককে জড়িয়ে রোম্যান্স যুবতীর, ভিডিও দেখতেই মাথায় হাত