আজকাল ওয়েবডেস্ক: যোগীরাজ্যে ফের একবার তোলপাড় করা ঘটনা। এর জেরে শিউরে উঠেছেন প্রশাসনের কর্তারা। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে এক নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একটি বেসরকারি হাসপাতাল সিল করে দিলেন। ঘটনাটি সামনে আসে যখন মৃত নবজাতককে নিয়ে তার বাবা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দফতরে পৌঁছান।
নবজাতকের বাবা বিপিন গুপ্তা, অভিযোগ করেন যে হাসপাতাল বারবার খরচ বাড়াচ্ছিল এবং প্রসব বিলম্বিত করছিল। শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া পোস্টে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লেখেন, “নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় জেলা প্রশাসন গোল্ডার হাসপাতাল সিল করেছে। ভর্তি রোগীদের জেলা মহিলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে। ডিএম-এর নির্দেশে এডিএম একে রাস্তোগি সৃজন হাসপাতালে গিয়ে গর্ভবতী মহিলার অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেন এবং উন্নত চিকিৎসার নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে রয়েছে।”
नवजात की मौत के प्रकरण में जिला प्रशासन ने गोलदार अस्पताल को किया सील। भर्ती मरीजों को जिला महिला अस्पताल शिफ्ट कराया जा रहा है। DM के निर्देश पर ADM एके रस्तोगी सृजन अस्पताल पहुंचे, प्रसूता का हालचाल लिया। बेहतर इलाज के निर्देश दिए। जिला प्रशासन पीड़ित परिवार के साथ।@CMOfficeUP pic.twitter.com/D1HUnq0Tgx
— DM LAKHIMPUR KHERI (@DmKheri)Tweet by @DmKheri
বিপিন গুপ্তা জানান, হাসপাতাল প্রথমে ‘নরমাল ডেলিভারি’র জন্য ১০ হাজার টাকা এবং সিজারিয়ান ডেলিভারির জন্য ১২ হাজার টাকা দাবি করেছিল। তবে, প্রসব বেদনা বাড়তে থাকায় হাসপাতাল বারবার খরচ বাড়াতে থাকে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, আমি আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করি। তখন ওরা বলে নরমাল ডেলিভারির খরচ ১০ হাজার এবং সিজারিয়ান ডেলিভারির খরচ ১২ হাজার টাকা। কিন্তু আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা বাড়তেই থাকে আর ওরা বারবার খরচ বাড়িয়ে চলতে থাকে। গুপ্তা জানান, রাত ২টা ৩০ মিনিট নাগাদ তিনি কিছু টাকা জোগাড় করেন। কিন্তু তাতেও হাসপাতাল আরও টাকা দাবি করে এবং টাকা না পাওয়া পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করতে অস্বীকার করে।
তিনি আরও বলেন, আমি রাত ২টা ৩০ মিনিটে টাকা জোগাড় করি এবং ওদের বলি, যদি আপনারা না পারেন তবে আমি স্ত্রীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাব। ওরা আরও খরচ বাড়াতে থাকে। আমি অনুরোধ করি প্রসব প্রক্রিয়া শুরু করতে, এবং বলি আমি বাকিটা জোগাড় করব। কিন্তু ওরা জোর করে বলে আগে টাকা দিন, তারপরই অস্ত্রোপচার হবে।
আরও পড়ুন: মানুষের জীবনের জোয়ার-ভাঁটার সঙ্গে চাঁদের সম্পর্ক কী, রইল বৈজ্ঞানিক তথ্য
বিপিন আরও অভিযোগ করেন, নবজাতকের মৃত্যুর পর তার স্ত্রীকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আমার নবজাতক সন্তান মারা গেল। এরপর ওরা আমার স্ত্রীকে রাস্তায় ফেলে দিল। তারপর আমরা এক সার্জনের কাছে যাই। তিনি যোগ করেন, এরপর আমি ডিএম-এর কাছে যাই। আমি একটি ব্যাগে আমার মৃত সন্তানকে নিয়ে ডিএম-এর কাছে পৌঁছাই। তারপর উনি আমার সঙ্গে হাসপাতালে আসেন।
এরপর আর দেরি না করেই অভিযুক্ত হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। তবে এই ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কীভাবে এই ধরণের একটি ঘটনা যোগীরাজ্যে ঘটে গেল তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। সকলেই অভিযুক্ত হাসপাতাল এবং চিকিৎসদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। এই ঘটনা ফের একবার যোগীরাজ্যে চরম অরাজকতার প্রমাণ সামনে এল দিল।
