নিতাই দে, আগরতলা: সন্তানকে খুন! মাত্র এক বছর বয়স। সেই খুদেকেই জলের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাওয়ানো! বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিজের সন্তানকে খুনের। তেমনটাই অভিযোগ শিশুর মায়ের। রাজ্যের গর্ব টিএসআর জোয়ানের কাণ্ডে ছিছিক্কার ত্রিপুরায়।

অভিযুক্ত রথীন্দ্র দেববর্মা, টিএসআর-এর ১০ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ান। টি এস আর জোয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শুক্রবার রাতে নিজের এক বছরের কন্যা সুহানি দেববর্মাকে ঠান্ডা জলের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে খুন করেছেন।

সূত্রে জানা যায়, রথীন্দ্র দেববর্মা পুত্র সন্তান না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী ও কন্যার উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। এদিন খোয়াই জেলার বেহালা বাড়ি এলাকায় নিজের বাড়িতে এই নৃশংস ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে এক বছরের কন্যা সন্তান সুহানি দেববর্মা।  তাকে সঙ্গে সঙ্গে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জিবি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন  বলে জানা গেছে। জিবি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সূত্রের খবর সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তারপরেই শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন: ব্যারিকেড ভেঙে চায়ের দোকানে ঢুকে পড়ল ট্রাক, মুহূর্তে গুঁড়িয়ে গেল সব, রক্তের মধ্যে ভাসছে দেহ, পাঁশকুড়ার ঘটনায় শিয়রে উঠছেন মানুষ

ঘটনার খবর পেয়ে শোকাহত মা হাসপাতালে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের চিকিৎসা, ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যাওয়া, এসবকিছু সম্পর্কে তিনি অজ্ঞাত। তাঁকে জানানো হয়নি কিছুই ।

এসময় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা জিবি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অভিযুক্ত  টিএস আর জোয়ান তথা শিশুটির বাবা রথীন্দ্র দেববর্মাকে ঘিরে ফেলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে জিবি হাসপাতালে ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে থানায় নিয়ে যান। নিহত শিশুর মা সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান। তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’, কিন্তু একজন রক্ষক হয়েও সে নিজের মেয়েকেই হত্যা করেছে। আমরা কেমন সমাজে বাস করছি, যেখানে রক্ষক ভক্ষকের ভূমিকায়?'

 

দিন কয়েক আগে সামনে এসেছিল আরও একটি ঘটনা। তেলেঙ্গানার নারায়ণপেট জেলার খবর। অভিযোগ ছিল, ওই নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করত তার বাবা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি আসলে ঘটেছিল ২৫ জুলাই।‌ কিন্তু পুলিশের কাছে তার দিন কয়েক পরেই অভিযোগ জানায় দশ বছরের নির্যাতিতা নাবালিকার মা। নারায়ণপেট জেলার মরিকাল মণ্ডলের একটি গ্রামের বাসিন্দা নির্যাতিতা নাবালিকা।  এর আগে পড়াশোনার জন্য সরকারি স্কুলের এক হস্টেলে থাকত সে। দিন কয়েক আগেই হস্টেলের মধ্যে কুকুরের কামড়ে জখম হয় সে। তখনই মকথালের স্কুলের হস্টেল থেকে নাবালিকাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে তার পরিবার। প্রথম কয়েকদিন হেসেখেলে কাটছিল সময়। ফাঁকা বাড়িতেই ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ ওঠে, দুপুর নাগাদ ছাগল চরিয়ে বাড়িতে ফেরে তার বাবা। সেই সময় যুবক মত্ত অবস্থায় ছিল বলে জানা গেছে। বাড়িতে ঢুকেই দেখে, মেয়ে একা পড়াশোনা করছে। তখনই ঘরের দরজা বন্ধ করে মেয়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।  নির্জনতার সুযোগে মেয়েকে চরম যৌন নির্যাতন করে বাবা।