আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিবার সকালে আচমকাই হ্যাক হল মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের এক্স হ্যান্ডেল। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রীর এক্স অ্যাকাউন্ট রবিবার সকালে হ্যাক হয়ে যায়। সেখান থেকে হ্যাকাররা একাধিক পোস্টও করে। দেখা যায়, একনাথ শিন্ডের অ্যাকাউন্ট থেকে পাকিস্তান ও তুরস্কের পতাকার ছবি পোস্ট করা হয়েছে। এছাড়াও, ভারত-পাকিস্তান এশিয়া কাপ ম্যাচের আগে হঠাৎ ওই অ্যাকাউন্ট থেকে দুই দেশের প্রতীক চিহ্ন যুক্ত কনটেন্ট লাইভস্ট্রিমও করা হয় বলে জানা গেছে। একজন আধিকারিক জানান, ‘আমরা সঙ্গে সঙ্গেই সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশকে বিষয়টি জানাই।

উপমুখ্যমন্ত্রীর এক্স অ্যাকাউন্ট পরিচালনাকারী টেকনিক্যাল টিম ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়’। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি নিয়ে সাইবার ক্রাইম থানায় সরকারি ভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ডিজিটাল যুগে প্রায়শই পুলিশের তরফে হ্যাকিং নিয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। ওটিপি না দেওয়া, অচেনা লিঙ্কে ক্লিক না করা এই ধরনের সতর্কতামূলক পোস্টও করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু অচেনা লিঙ্কে ক্লিক না করলেও হ্যাক হতে পারে মোবাইল! কয়েক মাস আগে সে রকমই সতর্কবার্তা দিয়েছে মার্ক জাকারবার্গের সংস্থা হোয়াটস অ্যাপ।
জনপ্রিয় এই অ্যাপের তরফে জানানো হয়, প্রায় এক ডজন দেশের ৯০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এ ধরনের সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছেন। হোয়াটস অ্যাপের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই ৯০ জনের মধ্যে সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আছেন। স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে তাঁদের মোবাইল হ্যাক করা হয়েছিল। হ্যাকিং সফটওয়্যার তৈরিতে বিশেষজ্ঞ ইজরায়েলি সংস্থা প্যারাগন সলিউশনের মালিকানাধীন একটি হ্যাকিং টুলের ব্যবহার করা হয়েছিল এক্ষেত্রে। প্যারাগনের স্পাইওয়্যার সরকারি সংস্থার কাছে বিক্রি করা হয়। যারা অপরাধ দমন এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এটি ব্যবহার করে।
উদ্বেগের বিষয়, প্যারাগনের স্পাইওয়্যার 'জিরো-ক্লিক' হ্যাক পদ্ধতি ব্যবহার করে। এর অর্থ, যাঁদের ফোন হ্যাক করা হচ্ছে তাঁদের কোনও ক্ষতিকারক লিঙ্কে ক্লিক করতে হয় না। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে হ্যাকাররা কারও সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছাড়াই তাদের শিকারের বৈদ্যুতিন যন্ত্রে প্রবেশ করতে পারে। এই ধরণের স্পাইওয়্যারের আক্রমণ বুঝিয়ে দিচ্ছে কিছু না করেই আপনি অজান্তেই হ্যাকিংয়ের শিকার হয়ে যেতে পারেন। কী ভাবে হোয়াটস অ্যাপ কর্তৃপক্ষ জানতে পারলেন যে এর পিছনে প্যারাগন স্পাইওয়্যারই দায়ী। সে বিষয়ে খোলসা করতে চাননি তাঁরা। হোয়াটস অ্যাপের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
