আজকাল ওয়েবডেস্ক: গাড়ি চালান অথচ তাতে নেই এয়ার কন্ডিশনার! এরকম আবার হয় নাকি!! বিশেষ করে গরমের দিন হলে তো কথাই নেই কোনও। কিন্তু জানেন কি এর ফলে জ্বালানি খরচ কেমন হয়!
কোথাও যাবেন অমনি গাড়ি চাই। আর গাড়িতে উঠলেই ধোঁয়া ধুলো থেকে বাঁচতে অনেকেই কাঁচ তুলে দেন। এরপর চালিয়ে দেন এসি। আর যদি গরম লাগে তাহলে তো কথাই নেই। অনেকেই আছেন যাঁরা গরম থেকে বাঁচার জন্য এসি চালিয়ে দেন। অত্যন্ত গরম আবহাওয়ায় শহরাঞ্চল হোক কিংবা গ্রামাঞ্চল যে কোনও চারচাকার গাড়ির ক্ষেত্রে এটি করা হয়ে থাকে হামেশাই। সাধারণত, গাড়ির এসিতে রেফ্রিজারেটর থাকে যা তাপ শোষণ করে তাপ বাইরে ছেড়ে দেয়। কম্প্রেসারের চাপের ফলে জ্বালানি খরচ বেড়ে যায়। শুনে অবাক হলেও এটাই এখন ঘটছে বাস্তবে।
কী বলছে নতুন দেওয়া তথ্য? জানা গিয়েছে, দীর্ঘ সময়ের জন্য যখন বাতানুকূল যন্ত্র সর্বোচ্চ সেটিংয়ে দেওয়া থাকে, তখন এটি গড় মাইলেজকে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে দেয় গবেষণা বলছে এমনটাই। যেমন, একটি চার চাকা গাড়ির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ জ্বালানি ভর্তি ট্যাঙ্ক নিয়ে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। অথচ এসি না চালিয়ে সেই একই গাড়ি প্রায় ৬০০ থেকে ৬২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। এতটাই পার্থক্য হয়ে যায় এসি চালিয়ে ঘুরতে গেলে। এছাড়া ইঞ্জিনের আকারও পেট্রোল খরচের উপর বিপুল প্রভাব ফেলে। যেখানে দেখা যায়, ইঞ্জিন ঘন ঘন রিস্টার্ট করা হচ্ছে সেক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিকভাবেই জ্বালানি বেশি পোড়ে।
তবে এই তাপমাত্রার ওঠানামার ওপর যে জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ হয় সেটা প্রথম সামনে এল। অনেকসময়, যদি বাইরের আবহাওয়া ঠাণ্ডা থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে এয়ারকন্ডিশনার চালানোর প্রয়োজন হয় না। আর জ্বালানিও পোড়ে অনেক কম। তাই এবার বাইরে বেরোলেই গাড়ির কাঁচ তুলে দিয়ে এসি চালিয়ে দেওয়ার আগে অন্তত দু'বার ভাবুন।
