আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিনের আলোয় এক বেসরকারি সংস্থার নিয়োগকর্মী। সূর্য ডুবতেই তিনি হয়ে যান আমেরিকান মডেল। ভারতে এসেছেন ঘুরতে। উত্তরপ্রদেশের নয়ডার একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী ওই যুবক মডেল সেজে মহিলাদের ব্ল্যাকমেল করে তাঁদের থেকে টাকা আদায় করতেন। শুক্রবার পূর্ব দিল্লির শকরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই যুবককে। তাঁর নাম তুষার সিং বিস্ত। বয়স ২৩ বছর। পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত ৭০০ মহিলাকে ফাঁদে ফেলেছিলেন তুষার।
দিল্লিরই বাসিন্দা তুষার বিজনেস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে নয়ডার একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। বাবা গাড়ির চালক। মা গৃহকর্ত্রী। বোন কাজ করেন গুরুগ্রামের একটি সংস্থায়। ভাল বেতন পান তুষার। কিন্তু মহিলাদের প্রতি আকর্ষণ এবং আরও টাকা উপার্জনের তাগিদে পা রাখেন সাইবার অপরাধের দুনিয়ায়।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তুষার একটি অ্যাপের মাধ্যমে ভুয়ো মোবাইল নম্বর জোগাড় করে বিভিন্ন ডেটিং অ্যাপে নিজের ভুয়ো প্রোফাইল বানান। সেখানে নিজেকে আমেরিকার মডেল হিসাবে পরিচয় দেন। ব্রাজিলের এক মডেলের ব্যক্তিগত তথ্য এবং ছবি জোগাড় করে মহিলাদের সঙ্গে অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ জমাতেন এবং তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করতেন। ধীরে ধীরে ব্যক্তিগত আলাপচারিতা, ছবি আদানপ্রদান চলত। মহিলারা তাঁকে বিশ্বাস করে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিয়ো পাঠালে সেগুলিকেই ব্যবহার করে ওই মহিলা বা তরুণীকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকেন। তাঁদের কাছে এ ভাবেই টাকা আদায় করতেন।
পুলিশ জানতে পেরেছে, বাম্বল নামক ডেটিং অ্যাপে ৫০০ জন, স্ন্যাপচ্যাট এবং হোয়াটস অ্যাপে ২০০ জন মহিলাকে ফাঁদে ফেলেছিলেন তুষার। ২০২৪ সালে ১৩ ডিসেম্বর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর অভিযোগের পর ওই যুবকের এই কীর্তি সামনে আসে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পশ্চিম দিল্লির সাইবার পুলিশ তদন্তে নামে। শুক্রবার শকরপুর থেকে তুষারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু মহিলার ব্যক্তিগত তথ্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। দু'টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও হদিশ মিলেছে। সেগুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
