আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রাক্তন স্বামী ও শ্বশুড়-শাশুরির বিরুদ্ধে ছেলেকে দেখতে এসে হইহট্টগোলের অভিযোগ তুলেছিলেন বিবাহবিচ্ছান্না মহিলা। দিল্লি হাইকোর্টে মামলাও দায়ের করেছিলেন। কিন্তু, তথ্য প্রমাণ যাচাই করে বিচারপতিরা মামলাকারী মহিকাকেই ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন! অশান্তিতে ওই মহিলাই প্ররোচনা দিয়েছেন বলে পর্যবেক্ষণে জানানো হয়েছে।
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি নবীন চাওলা এবং বিচারপতি রেণু ভাটনাগরের ডিভিশন বেঞ্চে সম্প্রতি একটি মামলা ওঠে। মামলাকারী মহিলা জানান, কয়েক বছর আগে তাঁর বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়েছে। একমাত্র সন্তান থাকে তাঁর কাছে, তিনিই দেখাশোনা করেন। পরিবার আদালতের নির্দেশ ছিল, নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর সন্তানকে বাবা ও তাঁর বাড়ির লোক দেখতে যেতে পারবেন। কিন্তু, ছেলে যখন বাবা এবা ঠাকুরদাদা ও ঠাকুরমা দেখতে আসেন, তখন তাঁরা হট্টগোল করেন বলে অভিযোগ ওই মহিলার। সন্তানের উপর এইসব মানসিক প্রভাব ফেলছে বলেও দাবি করেন। প্রাক্তন স্বামী ও তাঁর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে পারিবার আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন মহিলা। নিজের অভিয়োগের সপক্ষে একটি ভিডিও ফুটেজও মহিলা আদালতে জমা দেন।
যে দিন সন্তানকে দেখতে এসেছিলেন তার বাবা এবং দাদু-ঠাকুরমা সেদিনই ভিডিও-টি রেকর্ড করেছিলেন মহিলাই। কিন্তু ভিডিও পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখার পর তাজ্জব বিচারকরা। মহিলাকেই অশান্তিতে অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করে আদালত। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ভিডিও থেকে পরিষ্কার অশান্তি করতে তিনি তাঁর প্রাক্তন স্বামীকে প্ররোচনা দিয়েছিলেন। মহিলার বার বার এমন কিছু কথায় তাঁর প্রাক্তন স্বামী মেজাজ হারান। ভিডিও থেকে স্পষ্ট হয় যে, স্বামীর পরিবার পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছিল, তখন অবশ্য আবেদনকারী তাঁদের উপহাস করেছিলেন। \
এরপরই আদালত মামলাকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। এই জরিমানা চার সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ, মিথ্যা অভিযোগে মামলা করার জন্য প্রাক্তন স্বামীকে ২৫ হাজার টাকা দেবেন মহিলা। বাকি ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে দিল্লি হাইকোর্টের আইনজীবীদের 'ওয়েলফেয়ার ফান্ড'-কে।
