আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফি বছর, পরিস্থিতি কমবেশি একই থাকে দিল্লির জন্য। দিওয়ালির পর থেকেই, অর্থাৎ শীতের আগে থেকেই, ক্রমে দিল্লির বাতাস শ্বাস নেওয়ার জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।দিল্লি সরকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে একাধিক উপায় অবলম্বন করলেও, পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। চলতি বছরেও যেন সেই ছবিই।

নভেম্বর জুড়ে দিল্লির বাতাসের গুণগতমান খুব খারাপ। বারবার নানা বিষয়ে সতর্ক করা হলেও, গুণমানের কোনও উন্নতি হয়নি। দিল্লির বাসিন্দারা অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, রাস্তায় বেরোলেই চোখে জ্বালা ভাব, শ্বাস নিতে কষ্টের কথা। আগের সপ্তাহেই ভারতের প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) সূর্য কান্ত বলেন, দিল্লির বিষাক্ত বাতাস পরিষ্কার করার জন্য বিচার বিভাগের কাছে "যাদুর কাঠি" নেই। তাই দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য আদালতের নির্দেশের চেয়ে ক্ষেত্র বিশেষজ্ঞ এবং সরকার থেকে আসা উচিত।

 

তাঁর মতে, মামলা নয়, দীর্ঘমেয়াদী প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাই দিল্লি-এনসিআর জুড়ে পরিষ্কার বাতাসের জন্য হাঁপিয়ে ওঠা লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রকৃত স্বস্তি দিতে পারে। মামলার মাঝেই এদিন তিনি বলেন, 'এটি সমগ্র দিল্লি-এনসিআর-এর একটা সমস্যা। মানুষ সত্যিই কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের বলুন তো, স্থায়ীভাবে এর সমাধানের জন্য বিচার বিভাগ কী জাদুর কাঠি বের করতে পারে? আমরা কি আদেশ দিতে পারি এবং বাতাস পরিষ্কার হয়ে যায়?'

বৃহস্পতিবার দিল্লির দূষণ প্রসঙ্গে সামনে এসেছে বড় তথ্য। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, দিল্লি সরকার রাজধানীতে বায়ু দূষণ মোকাবেলায় মিস্ট স্প্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করার চিন্তা ভাবনা করছে। বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা জানিয়েছেন, তিনি আইটিওতে মিস্ট স্প্রেয়ার পরিদর্শন করেছেন। জানিয়েছেন শহরের ন'টি দূষণের হটস্পটে ৩০৫টি মিস্ট স্প্রেয়ার বসানোর পরিকল্পনা করছে দিল্লি সরকার।

রেখা গুপ্তা জানিয়েছেন, নতুন দিল্লি পৌর কাউন্সিল (এনডিএমসি)-এর কিছু এলাকায় মিস্ট স্প্রেয়ারের পরীক্ষায় ইতিবাচক ফলাফল দেখা গিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, 'আমরা দিল্লির সমস্ত রাস্তাগুলিকে মিস্ট স্প্রে মেশিন দিয়ে ঢেকে দেওয়ার জন্য একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা তৈরি করছি। আইটিওতে ৩৫টি খুঁটিতে লাগানো মিস্ট স্প্রেয়ারগুলি ভাল ফলাফল করছে বলে দকেহা গিয়েছে পরীক্ষায়।'

দূষণ নিয়ন্ত্রণে গৃহীত প্রদক্ষেপ প্রসঙ্গে রেখা গুপ্তা বলেন, পিডব্লিউডি, ডিএসআইআইডিসি এবং ডিডিএ-সহ বিভিন্ন বিভাগকে দূষণ রোধে অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি গর্ত ভরাট, কার্পেট রাস্তা পর্যবেক্ষণ-সহ একাধিক বিষয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি সরকারের পোর্টালে গর্তের বিষয়ে রিপোর্ট করার জন্য জনগণকে আহ্বানও জানিয়েছেন।