আজকাল ওয়েবডেস্ক: মেয়ে বিয়ে করেছেন পরিবারের অমতে। বাড়ি ছেড়ে গিয়েছেন। শোকে-ক্ষোভে নিজের জীবন শেষ করলেন ব্যবসায়ী। চরম পদক্ষেপের আগে চিঠিতে লিখে গিয়েছেন, সন্তানকেই তাঁর কাজের জন্য খুন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাবা হয়ে নিজের সন্তানকে খুন করতে পারেননি। তাই শেষ করলেন নিজেকেই। পুলিশ সূত্রে খবর তেমনটাই।
ঘটনা মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যবসায়ীর নাম ঋষিরাজ জসওয়াল। বুধবার রাতে ঘুমোতে যাওয়ার পর, আচমকা তাঁর ঘর থেকে গুলির শব্দ পান পরিবারের লোকজন। মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঋষিরাজের মেয়ে হর্ষিতা, ভিনজাতির ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন, বাড়ির অমতে। তাঁরা দু’ জনে ইনদোরে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে ফিরে এসে জানান, তাঁরা বিয়ে করেছেন। ব্যবসায়ী কোনওভাবেই মেয়ের বিয়ে মেনে নিতে পারেননি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যবসায়ীর ঘর থেকে চিঠি উদ্ধার হয়েছে। তাতে লেখা ছিল, ‘হর্ষিতা, তুই ভুল করেছিস, আমি চলে যাচ্ছি। আমি তোদের দু’ জনকেই হত্যা করতে পারতাম, কিন্তু আমার মেয়েকে কীভাবে হত্যা করতে পারি?’ বিয়ের আইনি প্রক্রিয়া নিয়েও চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিরঞ্জন শর্মা ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে ভিন্ন সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিলেন। সেই কারণে তাঁর বাবা কয়েকদিন ধরে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।‘ চিঠতেও তার প্রতিফলন লক্ষণীয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
