আজকাল ওয়েবডেস্ক: শনিবার সন্ধেয় তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ফেনগাল। তারপর থেকেই তালিমনাডু এবং পুদুচেরিতে ভারি বর্ষণ হয়েছে একটানা। সোমবারের পর মঙ্গলবারেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। মঙ্গলবার পুদুচেরিতে সমত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল ছুটি ঘোষণা করেছেন সেখানকার শিক্ষামন্ত্রী।
একই সঙ্গে পুদুচেরি সরকার বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণের কথা জানিয়েছে। এন রাঙ্গাস্বামী সোমবারই ঘোষণা করেছেন, যাঁদের রেশন কার্ড আছে, তাঁদের প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ফেনগাল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সেখানে ৪৮ শতাংশ বৃষ্টিপাত হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে পুদুচেরিতে ১০,০০০ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের হেক্টর প্রতি ৩০ হাজার ক্ষতিপূরণের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
ফেনগালের প্রভাবে তামিলনাডুর ভিল্লুপুরম এলাকা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষ্ণগিরিও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। সেখানকার একটি ভিডিও সোমবার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা গিয়েছে, জলের তোড়ে সেখানে ভেসে যাচ্ছে একের পর এক বাস। উঁচু রাস্তা থেকে বাসগুলিকে জলের তোড়ে নিচু এলাকায় ভেসে যাওয়ার দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থল উথাঙ্গিরি বাস স্টপেজ বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার রাতে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে তামিলনাড়ুর তিরুবন্নামলইতে। একটানা তুমুল বৃষ্টির জেরে ধস নামে পাহাড়ি এলাকায়। ধসে পড়ে পরপর তিনটি বাড়ি। পালানোর সুযোগ পাননি অনেকেই। ঘুমের মধ্যেই ধসে চাপা পড়েন এক পরিবারের সাতজন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন শিশু। সোমবার আরও একটি জায়গায় ধস নামার ঘটনা ঘটে। তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন জানিয়েছেন, বিপর্যয়কালে রাজ্যজুড়ে ১৪৭টি আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে, অন্তত ৭হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে।
