আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৃদ্ধ গোমাংস খাচ্ছেন, এই সন্দেশে তাঁর উপর অমানবিক অত্যাচার চালায় গো রক্ষা কমিটি। অকথ্য অত্যাচারের পরেও ছাড় মিলেছিল। ২৪ ঘন্টাও থাকতে হয়নি জেলে। তবে তাদের জামিন খারিজ করা হয়েছে। 

ঘটনাটি ঘটে ৩০ আগস্ট। ৭২ বছরের আশরাফ আলি সায়েদ হুসেন জলগাঁও থেকে কল্যাণ যাচ্ছিলেন ট্রেনে। মাঝপথে আচমকা গো রক্ষকেরা তাঁর উপর হামলা চালায়। কারণ? কারণ সন্দেহ। হুসেন মোষের মাংস নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু গোরক্ষকদের ধারণা ছিল, গরুর মাংস নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। মহারাষ্ট্রে গো মাংস নিষিদ্ধ হলেও, মোষের-মাংসে নিষেধাজ্ঞা নেই। তবুও কেবল সন্দেশের বসেই চলে অত্যাচার-হুমকি। এক পর্যায়ে গিয়ে তাঁকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

হুসেনের উপর ওই গো রক্ষকদের অত্যাচারের ভিডিও প্রকাশ্যে আসে সমাজমাধ্যমে। যদিও প্রাথমিকভাবে পুলিশ অভিযুক্তদের নামে জামিন যোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে। যদিও ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর চাপ বাড়ে পুলিশের উপর। আকাশ, নীলেশ এবং জয়েশ, তিন অভিযুক্তের বয়স ২০-র কোঠায়, তাদের জামিন খারিজ করেছে আদালত।

অন্যদিকে বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় তাণ্ডব চালাচ্ছে গো রক্ষকরা। ২৭ আগস্ট, গো মাংস ভক্ষণের সন্দেহে গো রক্ষা কমিটি পিটিয়ে খুন করে বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিককে।  ফের একই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কেবলমাত্র সন্দেহের বশে গো রক্ষকদের হাতে খুন দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া।
 
 সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আরিয়ান মিশ্র, এবং তাঁর দুই বন্ধু শ্যাঙ্কি, হর্ষিতকে গরু পাচারকারী সন্দেহে অন্তত ৩০ কিলোমিটার ধাওয়া করে গো রক্ষকরা। শুধু ধাওয়া করেই থেমে যায়নি, গুলি করে আরিয়ানকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৩ আগস্ট।
গো রক্ষকদের কাছে খবর ছিল, গরু পাচারকারীরা দুটি গাড়িতে শহরের নানা জায়গা থেকে গরু তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ফরিদাবাদের প্যাটেল চকে তাদের নজরে আসে পড়ুয়াদের গাড়ি। তারা গাড়ি থামাতে বললেও, পড়ুয়ারা গাড়ি না থামিয়ে আরও গতিবেগ বাড়িয়ে দেয়। সন্দেহ তীব্র হওয়ায় তাদের ধাওয়া করে গো রক্ষা কমিটির সদস্যরা। সঙ্গে চলে গুলি। গুলির পরে গাড়ি থামতেই তারা বুঝতে পারে ভুল নিশানায় গুলি চলেছে এবং তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় গো রক্ষকরা। আরিয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি।