আজকাল ওয়েবডেস্ক: দলের যারা শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের অধিকাংশই নিরামিষাশী। এমনকী গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিহারের আরজেডি নেতা ও লালু যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদবকে 'নবরাত্রি' উৎসবের সময় মাছ খাওয়া নিয়ে কটাক্ষও করেছিলেন। কিন্তু তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে প্রথমবারের বাজেটে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার কমিয়ে দিল দেশে মৎস্যজাত দ্রব্যের দাম। সোনা, রূপা, প্লাটিনামের সঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ঘোষণা করেছেন মৎস্যজাত দ্রব্যের দাম কমানো হল। অথচ ক্ষমতায় আসার পর কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে দেশের মানুষের খাদ্যাভাসে হস্তক্ষেপ করার। যা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন বিরোধী নেতৃত্ব। 









রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রশ্ন তুলেছিলেন, কোনও ব্যক্তির খাদ্যাভ্যাসে নীতি আরোপ করার বিজেপি কে? এমনকী তিনি প্রধানমন্ত্রীর জন্য রান্না করে দেওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন। যদিও এই প্রশ্নটাও তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী তাঁর হাতের রান্না খাবেন কিনা। আর শুধু তৃণমূলই নয়। সিপিএমের পক্ষ থেকেও মানুষের খাদ্যাভাস নিয়ে বিজেপির নানা সময়ে নানা মন্তব্য'র তীব্র সমালোচনা ধেয়ে এসেছে। সমালোচনা করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্বঘোষিত গো রক্ষকদের ভূমিকা নিয়েও। মঙ্গলবার মৎস্যজাত দ্রব্য নিয়ে এনডিএ সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, 'কেন্দ্রে এবার মিলিঝুলি সরকার। হতে পারে সেজন্যই বিজেপি হয়ত তাদের কোর এজেন্ডা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে।' এবারের নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সরকার গড়তে তাদের নির্ভর করতে হয়েছে শরিকদের ওপর।














যাদের মধ্যে দুই গুরুত্বপূর্ণ শরিক হল নীতীশ কুমার পরিচালিত জনতা দল ইউনাইটেড বা জেডিইউ এবং চন্দ্রবাবু নাইডু পরিচালিত তেলেগু দেশম পার্টি বা টিডিপি। এই দুই দলের মধ্যে চন্দ্রবাবু নাইডুর রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে দেশের প্রায় সব রাজ্যেই মাছ সরবরাহ করা হয়। তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, 'কথায় আছে ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। যে দুটি ক্র্যাচের ওপর নির্ভর করে বিজেপিকে সরকার চালাতে হচ্ছে তার মধ্যে একটি হল চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁর সরকারকে কিছু দিতেই বাজেটে মৎস্যজাত দ্রব্যের দাম কমিয়ে দিয়েছে। ফলে গরুও বিজেপির মাতা নয় বা মাছও বিজেপির পিতা নয়।' 











দৃষ্টিভঙ্গির তফাৎ। এটাই বিজেপি নেতা সজল ঘোষের যুক্তি। তাঁর কথায়, 'কারুর দৃষ্টি আকাশের দিকে থাকে। কারোর দৃষ্টি ভাগাড়ের দিকে থাকে। আমি বাঙালি। তাই মৎস্যজাত দ্রব্যের দাম কমানোটা আমি দেখছি আমাদের জন্য একটা ব্যবস্থা। এখন যদি কেউ বলে চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্য মাছের দাম কমানো হয়েছে তবে সেটা তাদের 'মেকানিক্যাল প্রব্লেম।'