আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঠাসা যাত্রী বোঝাই বাস। অন্তত ৪৫ জন ছিলেন ভিতরে। মাঝরাস্তায় বিপত্তি। অগ্নিকাণ্ড ওই বাসে। বাসটি যাচ্ছিল মুম্বই থেকে মালভান। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য, রত্নগিরির কাশেদি ঘাটের কাছে ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত দুটো নাগাদ ওই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে প্রাথমিকভাবে। জানা গিয়েছে বাসটি ছিল বিলাসবহুল অর্থাৎ লাক্সারি বাস।
কীভাবে চলন্ত বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে? প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই বাসটির একটি চাকা গরম হয়ে যায় এবং সেখান থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি চালকের নজরে আসতেই, গোটা বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই থামিয়ে দেন তিনি। যদিও ততক্ষণে বাসের বেশকিছু অংশ আগুনের গ্রাসে। যাত্রীদের মধ্যেও প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে বাস চালকের তৎপরতায় নিরাপদেই সকলকে বাস থেকে নামিয়ে আনা হয় বলে জানা গিয়েছে।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় খেদ পৌরসভার দমকল বাহিনী। রাত তিনটা নাগাদ আগুন নেভানো সম্পন্ন হয়। ওই সময়কালে নির্দিষ্ট রাস্তার যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে আগুনের কবলে পরা বাসটি যাত্রীদের উদ্ধার করে অন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য অন্য যান বাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কর্মকর্তারা ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন পোলাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং কারণ জানোট তদন্ত চলছে।
অন্যদিকে শনিবার ভয়াবহ দুর্ঘটনা এবং সেখান থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে পাঞ্জাবে। জানা গিয়েছে, একটি গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের ট্যাঙ্কারের। তারপরেই ওই গ্যাস সিলিন্ডারের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ ঘটে। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকেই। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারার আশঙ্কা রয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুর জেলার মান্দিয়ালা আদ্দায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হোশিয়ারপুর- জলন্ধর সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলেই সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ট্যাঙ্কারের চালক রয়েছেন। অমৃতসরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিস্ফোরণের জেরে অনেকেই আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে ১৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। হোশিয়ারপুরের পুলিশ আধিকারিক মুকেশ কুমার জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫ এবং ৩২৪(৪) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এই দুর্ঘটনার পরেই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান শোকপ্রকাশ করেছেন। নিহত ও আহতদের পরিবার পিছু আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন তিনি। মৃতদের পরিবার পিছু দুই লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, রাম নগর নেহা লিং রোডের দিকে যাচ্ছিল এলপিজি ট্যাঙ্কারটি। তখনই একটি পিক আপ ভ্যানের সঙ্গে এর সংঘর্ষ হয়। বিস্ফোরণ ঘটে সঙ্গে সঙ্গে। বিস্ফোরণের ফলে গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ি ও দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। ঝলসে যান বাড়িতে থাকা কয়েকজন সদস্য। এক স্থানীয় ব্যক্তি জানিয়েছেন, 'সেই সময় আমরা ঘরেই ছিলাম। আমি স্নানঘরে ছিলাম। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। কয়েক মিনিটের মধ্যে আমাদের বাড়িতেও আগুন ছড়ায়। আমি, আমার স্ত্রী, মেয়ে ও পুত্রবধূ আহত হয়েছি। কোনও মতে নাতিকে কম্বলে মুড়ে রক্ষা করতে পেরেছি।'
