আজকাল ওয়েবডেস্ক: মঙ্গলের বাজেট মধ্যবিত্তের জন্য মঙ্গল হয় কি না সেদিকেই সকাল থেকে নজর ছিল সব পক্ষের। বাজেট পেশের পর একদিকে যেমন অনেকেই বললেন, এই বাজেটে জোট শরিকদের রাজ্যগুলিকে ঢেলে বরাদ্দ করা হয়েছে। তেমনই বাজেট পেশের পরেই শুরু হল মধ্যবিত্ত কী পেল, আর কী পেল না তা নিয়ে আলোচনা।

বাজেট পেশের সময়েই অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের রাজকোষ ঘাটতি হতে পারে জিডিপির ৪.৯ শতাংশ। নজর ছিল ট্যাক্স নিয়ে কী ঘোষণা থাকে সেদিকে। অর্থমন্ত্রী জানালেন, ক্যাপিটাল গেনে করছাড়ের ঊর্ধসীমা বাড়িয়ে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। নয়া কর কাঠামোয় ‘স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন’ ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। দেরিতে আয়কর দিলে জরিমানা হবে তুলনায় কম। নতুন কর ব্যবস্থায় সুযোগ থাকছে ১৭হাজার কোটির কর বাঁচানোর।

আয়কর ছাড়ের ক্ষেত্রে, বছরে ০ থেকে ৩ লক্ষ আয়ে কোনও কর দিতে হবে না। ৩-৭ লক্ষ আয়ে বাৎসরিক কর ৫ শতাংশ। ৭-১০ লক্ষ আয়ে বাৎসরিক কর ১০ শতাংশ। ১০-১২ লক্ষ আয়ে কর ১৫ শতাংশ, ১২-১৫ লক্ষ আয়ে কর ২০ শতাংশ, ১৫ লক্ষের বেশি আয়ে বাৎসরিক কর ৩০ শতাংশ।

অন্যদিকে দ্রব্যাদির দাম বাড়া-কমার দিকে নজর দেওয়া যাক। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, প্লাস্টিকের দ্রব্যে আমদানি শুল্ক বাড়বে, টেলিকম ক্ষেত্রে কিছু জিনিসের আমদানি শুল্ক বাড়বে। ফলে দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে । একই সঙ্গে দাম বাড়বে পিভিসি পাইপের।

অন্যদিকে মাছ-চিংড়ির খাবারে আমদানি শুল্ক হ্রাস পাবে, দাম কমবে মোবাইল ফোন-চার্জারের। এক্স-রে মেশিন, লিথিয়াম ব্যাটারি, চর্মজাত পণ্যের দাম কমবে। তামার তৈরি দ্রব্যের শুল্ক কমবে। ক্যানসারের তিনটি ওষুধের শুল্কে ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য, এই বাজেট জানাচ্ছে, দাম কমবে সোনা-রূপোর। যাতে মুখে হাসি ফুটবে মধ্যবিত্তের।