আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৩ এবং ২০ নভেম্বর ভোট ঝাড়খণ্ডে। ৮১ আসনের নির্বাচনে ঠিক হবে আগামী ৫ বছর সে রাজ্যের মসনদে থাকবে কোন দল। এর আগের বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা অর্থাৎ হেমন্ত সোরেনের দল জিতেছিল ৩০ আসন, বিজেপি জিতেছিল ২৫ এবং কংগ্রেস জিতেছিল ১৬ আসন। গত কয়েকমাস ধরেই হেমন্তের জেল যাওয়া, চম্পাইয়ের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসা, হেমন্তের ফিরে আসা, চম্পাইয়ের দলত্যাগ, সব মিলিয়ে ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে টালমাটাল পরিস্থিতি। তার মাঝেই ভোট। হেমন্ত সরকারকে চাপে ফেলতে একের পর এক প্রতিশ্রুতি গেরুয়া শিবিরের।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলছেন, বিজেপি জিতলে সে রাজ্যে রক্ষা পাবে মাটি, বেটি এবং রোটি। সোরেন সরকারের সময়কালে সে রাজ্যে আদিবাসীরা নিরাপদ নয় বলেও উল্লেখ করেন শাহ। তিনি বলেন, সাঁওতাল পরগনাগুলিতে দিনে দিনে আদিবাসীদের সংখ্যা কমার অন্যতম কারণ হল অনুপ্রবেশকারীদের সেখানকার মেয়েদের বিয়ে করা এবং জমি জমা দখল করা। ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়ে সংকল্প পত্র প্রকাশ করেছে গেরুয়া শিবির। ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ২৫ বছরে গেরুয়া শিবির ইশতিহারে ২৫টি প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছে।
এর আগেই, অক্টোবরের ৫ তারিখে, বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে গেরুয়া শিবির মূল পাঁচটি পয়েন্ট সামনে রেখেছিল। ঝাড়খণ্ড বিজেপির সভাপতি বাবুলাল মারান্ডি সেগুলি ঘোষণা করেছিলেন। কী ছিল ওই পাঁচ পয়েন্টে?
বিধানসভা ভোট জিতে বিজেপি ক্ষমতায় এলে, মহিলাদের প্রতিমাসে ২১০০ টাকা আর্থিক সহায়তা করবে।
যুবকদের জন্য পাঁচ লক্ষ চাকরির সুযোগ, সকলের জন্য আবাসন।
সব পরিবার এলপিজি গ্যাস পাবে ৫০০ টাকায়, বছরে দুটি সিলিন্ডার দেওয়া হবে বিনামূল্যে।
দল ক্ষমতায় এলে, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়াদের দুই বছর পর্যন্ত ২হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। যাতে তারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারেন।
