আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্নায়ুর রোগের মধ্যে অনেকের মধ্যে যে রোগের প্রভাব সবথেকে বেশি থাকে তার নাম হল পারকিনসন। পারকিনসন রোগ হল এক প্রকারের নিউরো-ডিজেনারাটিভ বা স্নায়বিক রোগ বা স্নায়ু-অধঃপতনজনিত রোগ। রোগটি বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন: পারকিনসোনিসম বা প্যারালাইসিস এজিট্যান্স  বা শেকিং পালসি এই রোগটি সবচেয়ে পরিচিত নিউরো-ডিজেনারাটিভ রোগের মধ্যে দ্বিতীয়। মনে করা হয় যে, মস্তিষ্কের তৈরির কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই রোগ হয়। এই রোগের প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য হল স্নায়ুতে প্রিসাইনাপ্টিক প্রোটিন-এর জমা হওয়া। তাছাড়া প্রাথমিক উপসর্গগুলি হল ব্রাডিকাইনেশিয়া এবং একাইনেশিয়া, রিজিডিটি এবং ট্রেমর। 

 


এই রোগের প্রধান লক্ষণগুলি হল দুর্বলতা। মাথায় কিংবা হাতে মৃদু কম্পন অনুভব করা। মানসিকভাবে বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়া। ভাবলেশহীন অভিব্যক্তি এবং চোখের পাতায় কম কম্পন হয়ে যাওয়া। পেশির অনমনীয় পরিস্থিতি তৈরি হওয়া। ধীরগতিতে চলাফেরা করা। ভারসাম্য রক্ষায় অপারদর্শীতা হয়ে যাওয়া। বিশ্রামের সময় মাথায় কিংবা হাতে মৃদু কম্পন অনুভব করা এবং বিভ্রান্তি এবং স্মৃতিশক্তির বিলোপ ঘটে যাওয়া।

 


তবে এখান থেকে নতুন আশার বানী শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা মনে করছেন দেহের এই রোগের সঙ্গে লড়াই করতে পারে কফি এবং তামাকজাত দ্রব্য। শুনতে অবাক হলেও এটাই চরম সত্যি। গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে এই কফি এবং তামাকজাত দ্রব্য সেবন করলে মানুষের মস্তিষ্কে এক অন্যধরণের গতির সঞ্চার হয়ে থাকে। এই গতি স্নায়ুর উপর বিরাট প্রভাব বিস্তার করে। মগজের শক্তির ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা রাখে কফি এবং তামাকজাত দ্রব্য। ফলে পারকিনসন রোগের পক্ষে তার বিপরীত হিসাবে কাজ করে থাকে। যারা নিত্য ধুমপান করে থাকেন তাদের অনেক স্ট্রেসকে কমিয়ে দেয় এই অভ্যাস। ফলে তারা সেখান থেকে অতি সহজেই বেরিয়ে আসতে পারেন। 


পারকিনসন রোগের শত্রু হিসাবে কাজ করতে থাকে কফি এবং তামাকজাত দ্রব্য। সেদিক থেকে দেখতে হলে এই রোগকে অনেকটাই প্রতিহত করতে পারে এই দুজনে। যারা স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ তারা মনে করছেন তামাকজাত দ্রব্য দেহের পক্ষে ক্ষতিকর হলেও তা পারকিনসন রোগের পথে বাধা তৈরি করে। একইভাবে কফি নিজের গুন অনুসারে পারকিনসন রোগের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করতে পারে। এই দুটি তাই অ্যান্টি পারকিনসন হিসাবে কাজ করে থাকে। তাইতো কথায় আছে সব খারাপ কিন্তু খারাপ হয় না, সেখানে ভালোর অস্তিত্বও লুকিয়ে থাকে।