আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে৷ বিজনর জেলার নাগিনা এলাকায় রীতিমত চমকে দেওয়া ঘটনা সামনে এসেছে, যা গোটা এলাকায় চরম আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। খবর অনুযায়ী, প্রায় এক দশক ধরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে কাজ করা গৃহকর্মী সমন্ত্রা-র বিরুদ্ধে এক অস্বাভাবিক এবং অস্বাস্থ্যকর কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানান হয়েছে, ওই গৃহকর্মী রান্নাঘরে পরিবারের ব্যবহৃত বাসনপত্রে প্রস্রাব ছিটিয়েছেন।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে একটি গোপনে তোলা ভিডিও-র মাধ্যমে। চাঞ্চল্যকর এই ভিডিও পরিবারের একজন সদস্য তাঁর মোবাইল ফোনে সন্দেহের বশে রেকর্ড করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ভিডিওটি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে নেটিজেনদের মধ্যে।
পরিবারের সদস্যের দাবি, সমন্ত্রা দীর্ঘ ১০ বছর ধরে তাঁদের বাড়িতে কাজ করছেন। শুধু তাই নয়, এমনকী তাঁকে পরিবারের একজন সদস্যের মতোই বিশ্বাস করতেন বাকি সদস্যরা। তবে সম্প্রতি তাঁর আচরণের অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করার পর পরিবারের এক সদস্য গোপনে তাঁকে নজরে নজরে রাখেন। তাতেই ধরা পড়ে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা।
ঘটনার জেরে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে নাগিনা থানার পুলিশ সমন্ত্রাকে আটক করে। পরে তাঁর বিরুদ্ধে জনশান্তি বিঘ্ন ঘটানো এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেশীরা এই ঘটনাকে 'বিকৃত মনস্কতা' বা 'অমার্জনীয়' এবং 'অবিশ্বাস্য' বলে আখ্যা দিয়েছেন। অনেকে ধারণা করছেন, গৃহকর্মীর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থাকতে পারে। আবার অনেকে বলছেন, এটি ইচ্ছাকৃত ও পূর্বপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। এর পেছনে নিশ্চয়ই পারিবারিক রেষারেষি বা বিদ্বেষ জাতীয় কোনও ঘটনা থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।
সবচেয়ে বড় ধাক্কার বিষয় এই বিশ্বাসঘাতকতার ঘটনার দিক থেকে। কারণ ১০ বছর ধরে একটি পরিবারের সঙ্গে থাকার পরও এমন কাণ্ড ঘটানো নিঃসন্দেহে লজ্জাজনক এবং একইসঙ্গে গভীরভাবে অস্থির করে তোলা একটি ঘটনা বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। বর্তমানে এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত চলছে। ঘটনার জেরে পুলিশ জানিয়েছে, মেডিক্যাল চেক আপ ও মানসিক মূল্যায়ন ছাড়াও আরও কিছু প্রাসঙ্গিক দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পেছনে পরিচারিকা সমন্ত্রা'র অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও।
