আজকাল ওয়েবডেস্ক: পারিবারিক ঝামেলা, স্বামী-স্ত্রীর তুমুল তর্কাতর্কি-ঝড়গা, যা থামাতে এসেছিলেন তাঁদের বৌদি। কিন্তু বচসা আরও বেড়ে যায়। এরপরই ঘরে রাখা একটি ত্রিশূল ছুড়ে মারেন বৌদি। এতে দেওর রক্ষা পেলেও প্রাণ হারায় ১১ মাসের শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে পুনে থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রের কেদগাঁওয়ের আম্বেগাঁও পুনর্বাসন কলোনিতে। মৃত শিশুটির নাম অবধূত মেংওয়াড়ে।

পুলিশ জানিয়েছে যে, মৃতের মা পল্লবী মেংওয়াড়ে এবং তাঁর স্বামী শচীন মেংওয়াড়ে-র মধ্যে তীব্র তর্ক-বিতর্কের সময় এই ঘটনা ঘটে। ঝগড়ার সময়, পল্লবী একটি ত্রিশূল তুলে নিয়ে তার শ্যালক নিতিন মেংওয়াড়ে-কে আক্রমণ করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি শান্ত করতে হস্তক্ষেপ করেন শচিনের ভাই নীতিন ও তাঁর স্ত্রী ভাগ্যশ্রী।

ঝামেলা চলাকালীন পল্লবী হঠাৎই একটি ত্রিশূল তুলে নেন হাতে, অভিযোগ, তা দিয়ে নীতিনকে মারার চেষ্টা করেন। সেই মুহূর্তে নীতিনের কোলে ছিল তাঁর ১১ মাসের অবধূত। নীতিন নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে সরে গেলে ত্রিশূল সোজা গিয়ে লাগে শিশুটির মাথায়। রক্তে ভেসে যায় ঘর, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আহমেদনগর থানার সিনিয়র ইন্সপেক্টর নারায়ণ দেশমুখ জানিয়েছেন, পল্লবী ও শচিন মেংগওয়াড়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। পল্লবী, শচিন এবং নীতিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন আধিকারিকরা।

পুলিশের সন্দেহ, ঘটনার পরে ঘরের রক্ত মুছে ফেলা হয় এবং ত্রিশূলটি ধুয়ে ফেলে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন পল্লবী বা পরিবারের কেউ। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে। কী কারণে এত বড় আকার নিল সামান্য ঝগড়া, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
 
বাংলায় টেলি মেন্টাল পরিষেবা:
এবার টেলি মেন্টাল পরিষেবা চালু হল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই মিলবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ। এমনকি মানসিক রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা ও দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে । এই নম্বরে ফোন করলেই মানসিক রোগীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন পরামর্শ সরাসরি মিলবে। একটি টোল ফ্রি হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে টোল ফ্রি নম্বরটি হল- ১৮০০৮৯১৪৪১৬

এই নম্বরে ফোন করলেই আপনি সরাসরি কথা বলতে পারবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে। ফোনের মাধ্যমেই রোগীর বিবরণ ও সমস্ত সমস্যার কথা বললে চিকিৎসকেরা চিকিৎসার পরামর্শর পাশাপাশি ওষুধ পর্যন্ত দেবেন। প্রয়োজনে নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ এবং কোন চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করাতে হবে সেই সমস্ত বিষয়ে তথ্য দেওয়া হবে এই পরিষেবার মাধ্যমে।

রাজ্য জুড়ে টেলি মেডিসিন পরিষেবা ব্যাপক হারে সাফল্য পেয়েছে। এখন টেলি মেডিসিন পরিষেবার মাধ্যমে বহু রোগী উপকৃত হচ্ছেন।