আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রযুক্তির কৃপায় ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে গজরাজকূল। ঘটনা ওড়িশার সুন্দরগড় জেলার রৌকেল্লার। এখানে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে ট্রেন লাইন। ফলে লাইনে বন্য জন্তুরা প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ত। যা দেখে ওই অঞ্চলে এআই ক্যামেরায় নজরদারির সিদ্ধান্ত নেয় বনদপ্তর। যার সুফল মিলছে। সম্প্রতি রৌকেল্লার জঙ্গলে রেল লাইনের দিকে এগোচ্ছিল দুটি পূর্ণবয়স্ক ও একটি শিশু হাতি। যা ওআই ক্যামেরায় ধরা পড়ে। তখনই কন্ট্রোলের মাধ্যমে ট্রেনের চালককে খবর দেওয়া হয়। সতর্ক হয়ে যান চালক। থানামো হয় ট্রেন। এতেই রক্ষা পায় তিনটি হাতি।
অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় বন-পরিষেবা আধিকারিক সুশান্ত নন্দা এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, হাতিদের রেললাইনের দিকে যেতে দেখেই এআই ক্যামেরা তাদের উপর নজরদারি বাড়ায়। এরপরই রেল কন্ট্রোলের মাধ্যমে ওই রুটে আগত ট্রেনের চালকের কাছে আপডেট পাঠায়। ফলে চালক ট্রেন থামিয়ে দেয়। আমাদের চেষ্টার সফল হয়েছে দেখে আমরা খুশি। ট্র্যাকের পাশে এই ৪টি ক্যামেরা ছিল নজরদারির জন্য।
AI camera captures & zooms into the elephants approaching the railway line, sending alerts to the control room for stopping the train.
— Susanta Nanda (@susantananda3)
We had solutions. Happy to see that the ones implemented are now giving results.These 4 cameras along the track was part of mitigation measures. pic.twitter.com/RBNe0hPOnlTweet by @susantananda3
প্রকল্পটি বাস্তবায়ণে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পরিকল্পনার বাইরেও টাকা এসেছে রেলওয়ে স্যালারি প্যাকেজ থেকে। রৌকেল্লা বন বিভাগের এটি একটি পাইলট প্রজেক্ট। এরপর কেওনঝারের জঙ্গলে এআই প্রযুক্তির ক্যামেরা বসবে।
সুশান্ত নন্দার দেওয়া ভিডিও শোস্যাল মিডিয়ায় ৩২ হাজার ভিউ হয়েছে, ৭ হাজার কমেন্ট এসেছে। সকলেই প্রযুক্তির প্রশংসা করেছেন।
এক নেটিজেন জানিয়েছেন, প্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহার দেখে খুব ভালো লাগছে। ভবিষ্যতে, হয়তো আমরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোরা শিকারিদের সনাক্ত করতে পারবো।" যার জবাবে সুশান্ত নন্দা বলেছেন, "ইতিমধ্যেই সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমার টাইমলাইন দেখুন।"
AI camera captures & zooms into the elephants approaching the railway line, sending alerts to the control room for stopping the train.
— Susanta Nanda (@susantananda3)
We had solutions. Happy to see that the ones implemented are now giving results.These 4 cameras along the track was part of mitigation measures. pic.twitter.com/RBNe0hPOnlTweet by @susantananda3
চড়া-রেজোলিউশন এআই ক্যামেরাগুলি ১২ ফুট উঁচু টাওয়ারের উপরে ইনস্টল করা হয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত কয়েক ডজন হাতির জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছে।
