আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার অভিশপ্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান এআই১৭১ দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ২৪১ জনের। শুক্রবার আহমেদাবাদের মেঘানিনগরের বিজে মেডিকেল কলেজ হোস্টেল ভবনে এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনাস্থলে ভিড় জমান আহমেদাবাদের বাসিন্দারা। সকলেরই ইচ্ছে সেলফি তোলা এবং ভিডিও রেকর্ড করা। ভারতের সবচেয়ে খারাপ বিমান দুর্ঘটনারস্থলটি 'দুর্যোগ পর্যটন' অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।
বেশিরভাগই হোস্টেল ভবনে আটকে থাকা ড্রিমলাইনারের লেজের ছবি তুলতে চেয়েছিলেন। অনেকেই বিমানের লেজের সঙ্গে একটি সেলফি তুলেছেন। ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রাও দমাতে পারেনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ‘দুর্যোগ পর্যটক’দের। শুক্রবারও এলাকায় বিশৃঙ্খলতা বজায় ছিল। যেখানে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পড়েছিল সেই এলাকার কিছু অংশ পুলিশ দ্বারা সুরক্ষিত ছিল। বাকি এলাকাটি ছিল সকলের চারণভূমি।
ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে বাস করেন ক্রুনাল পাঞ্চাল। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য তিনিও এদিন একটি উপযুক্ত স্থান খুঁজছিলেন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, "আমার কাছে কিছু কাজ ছিল, তাই দুর্ঘটনার পরিমাণ এবং এর প্রভাব দেখার জন্য আমি এই এলাকাটিও পরিদর্শন করার কথা ভাবলাম।" বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে শিশু-সহ পরিবার, দর্শনার্থীরা দুর্ঘটনাস্থলের ১০০ মিটারেরও কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন।
আহমেদাবাদের জামালপুর এলাকার রফিক প্যাটেল তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে এসেছিলেন। জিতেন্দ্র কুমার তাঁর স্ত্রী এবং স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে তার বাইকে চেপে এসেছিলেন। রফিক বলেন, "টেলিভিশনে দেখা ছবিগুলি খুবই নাটকীয় মনে হচ্ছিল।" রফিক জানান, ঘটনাস্থলের কাছে যাওয়ার জন্য শত শত মানুষ একে অপরের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিও করছিলেন।
ভিড় সামলাতে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "সকলকে সামলানো খুবই কঠিন। বিপুল সংখ্যক তরুণ-তরুণী জড়ো হয়ে গিয়েছে। আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগও করতে পারি না।"
বিজে মেডিকেল কলেজের মেস ভবনের সবচেয়ে কাছে মেঘানিনগর ব্লক-১-এর বাসিন্দা বসবাসকারী আদিত্য পাটানি জানান, লোকজনকে তাঁদের বারান্দায় প্রবেশ করতে বাধা দিতে তাঁর বেশ কষ্ট হচ্ছিল। তিনি জানান অচেনা লোককে বাড়িতে প্রবেশে বাঁধা দিতে তিনি গেটে তালাও লাগিয়ে দেন।
