আজকাল ওয়েবডেস্ক: নূরহাজান। গর্ভবতী ছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিপত্তি। মৃত সন্তানের জন্ম দেন তিনি। অসহনীয় কষ্টের মাঝে ভাবতেও পারেননি, তার সঙ্গে সেই সময়েই ঘটে গিয়েছে আর বড় বিপদ। বিস্ফোরক অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
উত্তর প্রদেশের বরেলি। অভিযোগ, সেখানকার এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক চরম ভুল, কর্তব্যে গাফিলতি ঘটিয়েছেন। যার মূল্য চোকাতে হয়েছে সন্তানহারা নূরজাহানকে। পরিবারের অভিযোগ, নূরজাহান মৃত সন্তনের জন্ম দেন। অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। বাড়িও ফিরে যান। কিন্তু বাড়ি ফেরার কয়েকদিন পরেও তিনি সুস্থ অনুভব করছিলেন না। থেকে থেকে পেটে ব্যথা, একটা সময় পরে রক্তপাত শুরু হয়।
আরও পড়ুন: আইজল আর মিজোরামের রাজধানী নয়? স্টেট ক্যাপিটাল কোন শহর? সবটা জানিয়ে দিল সে রাজ্যের সরকার...
তৎক্ষণাৎ তাঁকে অপর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ইউএসজিতে ধরা পড়ে যা, চমকে যান হাস্পাতালের কর্মীরা। অভিযোগ, আলট্রা সাউন্ডে নূরজাহানের পেটের ভিতরে মেডিক্যাল গজের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ২৮ জুলাই চিকিৎসকরা তাঁর পেটের ভিতর থেকে গজ বের করেন। কিন্তু তার সঙ্গেই বাদ দিতে হয় জরায়ু। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পেটে গজের উপস্থিতিতে, তাঁর জরায়ুতে পচন ধরেছে।সেটি কেটে বাদ দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না, অভিযোগ তেমনটাই পরিবারের।
বেরেলির প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ বিশরাম সিং-এর কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগ অনুসারে, ৩ জুন ভোজিপুরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রসবের জন্য ডঃ শাহাজ নূরজাহানের অস্ত্রোপচার করেছিলেন। তিনিই পেটের ভিতরে মেডিক্যাল গজ রেখে দেন বলে অভিযোগ। বিশরাম সিং জানিয়েছেন, তদন্তের দল তৈরি করেছেন তিনি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
যুবতীর সঙ্গে ভুল আচরণ চিকিৎসকের। এমন ঘটনা সামনে এসেছিল সোমবারেও। জানা যায়, ওয়াশিম জেলার একটি হাসপাতালে একজন গর্ভবতী যুবতী আসেন তাঁর ডেলিভারি করানোর জন্য। ঘটনাটি তাঁর সদ্যজাত সন্তানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীদের চরম গাফিলতির কারণে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে সরকারি সূত্রে। ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল হাসপাতাল ঘিরে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবতীর নাম শিবানী বৈভব গাভানে। পালসাখেদের বাসিন্দা তিনি। জানা গিয়েছে চলতি মাসের ২ অগাস্ট ওই গর্ভবতী যুবতীকে ভোর ৩ টে নাগাদ ওয়াশিম জেলা মহিলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যুবতীর সব রিপোর্ট স্বাভাবিক ছিল। এবং সকাল ১০টার মধ্যে প্রসব সম্পন্ন হবে বলেও জানান তাঁরা। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, রাতে তীব্র প্রসববেদনা শুরু হয় যুবতীর। তৎক্ষণাৎ তাঁরা হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকদের বিষয়টি জানান। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা জানান কোনও ধরনের সাহায্য বা পরীক্ষা সেদিন রাতে যুবতীর হয়নি।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, সকাল ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটিও পরীক্ষা করা হয়নি যুবতীর। একাধিকবার অনুরোধ সত্ত্বেও কেউ এগিয়ে আসেনি। বিকেল ৫টার দিকে যুবতীর অবস্থার ভয়াবহ অবনতি হলে অবশেষে একটি পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।
পুলিশের কাছে পরিবারের অভিযোগ, শিবানীকে প্রসবের সময় অমানবিক আচরণের শিকার হতে হয়েছে। তাঁর গালে চড় মারা হয়েছে। এমনকি জোর করে পেটে চাপ দেওয়া হয়েছে। এসবকিছুই অযোগ্য কর্মীদের দ্বারা পরীক্ষা করা হয়েছে।
