আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ চিনে দাপট দেখাতে শুরু করেছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)। এই ভাইরাসের প্রধান উপসর্গ সর্দি–কাশি। চিনে প্রথম করোনা ভাইরাস দাপট দেখাতে শুরু করেছিল। তারপর গোটা বিশ্বে তা ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসও কী সেভাবেই ছড়িয়ে পড়বে?‌ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ভারত সহ বিশ্বের একাধিক দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। 


সূত্রের খবর, চিনে দ্রুত হারে বাড়ছে এইচএমপিভি ভাইরাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একাধিক ভিডিও এবং ছবিতে দেখা গেছে, চিনের হাসপাতালগুলিতে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। দাবি করা হচ্ছে, চিন নাকি ইতিমধ্যেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। যদিও বেজিং বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এরকম কোনও ঘোষণা করা হয়নি। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের কোভিডের উপসর্গও দেখা দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। যদিও চিনের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘‌এটা শীতকালীন রোগ। প্রতি বছরই এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।’‌ বিদেশ মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, র পর্যটকদের আসতে কোনও সমস্যা নেই। 


এদিকে  চিনের পর মালয়েশিয়াতেও এই ভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। ২০২৪ সালে নাকি ৩২৭ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তার আগের বছর সংখ্যাটা ছিল ২২৫। মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রক ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বলেছেন। বলা হয়েছে, বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। মুখে মাস্ক পরতে হবে। কাশি ও হাঁচির সময় মুখ ও নাক ঢেকে রাখতে হবে। 


হংকংয়েও এই ভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। তবে জাপানে এখনও এই ভাইরাস থাবা বসাতে পারেনি। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে জাপান প্রশাসন। তবে এই শীতে জাপানে ইনফ্লুয়েঞ্জার দাপট বেড়েছে। 


ভারতে এখনও অবধি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দু’‌জন। তবে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এটা কোনও অপরিচিত ভাইরাস নয়। এই ভাইরাস সাধারণত ইনফ্লুয়েজ্ঞার বাহক। ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ইতিমধ্যেই দেশবাসীকে সাবধানতা অবলম্বন করার কথা বলেছে। গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।