আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের মরশুমে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তার মধ্যে সোনার গয়নার দাম এখন মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে। বিয়ের কার্ড থেকে খাওয়াদাওয়া, সাজসজ্জা, বিয়ের আসরের ডেকোরেশন সব কিছুর জন্য কয়েক লক্ষ টাকার ধাক্কা সামলাতে হয় সাধারণ পরিবারকে। যা ঘিরে অনেকে দুশ্চিন্তায় পড়েন। 

কীভাবে বিয়ের খরচ বাঁচানো যায়, তা ঘিরে চলে দীর্ঘ পরিকল্পনা। তড়িঘড়ি বিয়ের অনুষ্ঠান না থাকলে, পরিকল্পনামাফিক অনেকেই সঞ্চয় করেন। আবার অনেকেরই কাছে বিয়ে হল স্বপ্নপূরণের মতো। তাই ঢেলে খরচ করতেও পিছপা হন না। কিন্তু যাঁরা আর্থিকভাবে দুর্বল? তাঁদের কাছে বিয়ের খরচ মানে বাড়তি চাপ। 

কিন্তু জানেন কি, বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্রে মাত্র চারটে শব্দ থাকলেই কমবে খরচ। ভাবছেন কীভাবে? বিয়ের কার্ডে নির্দিষ্ট কয়েকটি শব্দের উল্লেখ থাকলেই, কার্ড তৈরির খরচ কমবে একধাক্কায়। এটিও এক দিক থেকে বড় সাশ্রয়। কিন্তু খরচ বাঁচানোই মূল উদ্দেশ্য নয়। আসল লক্ষ্য, মাদকের নেশা বিরোধী প্রচার এবং নারী-পুরুষের সমান অধিকার। 

আরও পড়ুন: ৭ বছর দেননি ভাড়া, ফ্ল্যাটে ঢুকতেও বাধা মালিককে, চুপিসারে ঘরে ঢুকে যা দেখা গেল, ভাড়াটের কীর্তি জানলে গা গুলিয়ে উঠবে

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি রাজস্থানে যোধপুর রেঞ্জের ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ বিকাশ কুমারের উদ্যোগে এই প্রচার করা হয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছে, বিয়ের কার্ডে কয়েকটি শব্দের উল্লেখ থাকলেই, কমবে বিয়ের খরচ। কী কী শব্দ? তাও গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘোষণা করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত হিমাচল, মৃত শতাধিক, আরও দুর্যোগের আশঙ্কা!

'গার্লস=বয়েজ', 'নো ডাউরি', 'সিম্পল ওয়েডিং', 'ড্রাগ-ফ্রি ইভেন্ট', এইধরনের শব্দের উল্লেখ করতে হবে‌। অনুষ্ঠানে নেশা নিষিদ্ধ, সাধারণ বিবাহের আয়োজন, পণের বিরুদ্ধে প্রচারের পাশাপাশি নারী ও পুরুষের সমানাধিকারের উল্লেখ করতে হবে। যে সমস্ত কার্ডে এই ধরনের শব্দের উল্লেখ থাকবে, সেই বিয়ের খরচ একধাক্কায় বেশ খানিকটা কমবে বলে জানিয়েছেন আইজি বিকাশ কুমার। 

কোথায় চালু হয়েছে এটি? মারওয়ারে 'নেহ নিমন্ত্রণ' নামের এই কর্মসূচি প্রথমে চালু হয়েছে। ধীরে ধীরে সংলগ্ন এলাকাতেও এই কর্মসূচি চালু হতে চলেছে। মারওয়ারে বিয়ের অনুষ্ঠানে দশকের পর দশক ঐতিহ্যবাহী রীতি পালন করা হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেকেই আফিমের নেশা করেন। বয়স্কদের দাবি, বিয়েতে আফিমের নেশা করাও মার ওয়ারের একটি ঐতিহ্য। 

নেশা রুখতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন পুলিশ আধিকারিক। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১১০ ড্রাগ ডিলার ও নেশাগ্রস্তদের আটক করেছে পুলিশ। এখনও চলছে ধরপাকড়। এর পাশাপাশি সমাজে সচেতনতার বার্তা ছাড়তেই এই পদক্ষেপ করেছেন তিনি। আর্থিকভাবে দুর্বলদের কথা মাথায় রেখেই এই কর্মসূচি করা হয়েছে। 

ছাপাখানাগুলির সঙ্গে মিলে পুলিশ আধিকারিক এই ঘোষণা করেছেন। বিয়ের কার্ডে ওই নির্দিষ্ট শব্দগুলি থাকলেই যোধপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঁচ শতাংশ, বারমের, জয়সালমের এবং সিরোহিতে ১০ শতাংশ, জালোর ও বালোত্রায় ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে‌। বিয়ের কার্ডটি নির্দিষ্ট দপ্তরে জমা দিলে, তবেই বিয়ের কার্ডে বড়সড় ছাড় পাওয়া যাবে।