আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক যুবতী ও তার বর্তমান প্রেমিককে হত্যার অপরাধে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগ তরুণীর প্রাক্তন লিভ-ইন পার্টনারকে হত্যা করেছে এই ২ অভুযুক্ত। ৩৯ বছর বয়সী রাঘবেন্দ্র নায়েক নামের ওই যুবক আচমকা নিখোঁজ হন। মার্চ মাসে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। পরে তাঁর স্ত্রী কালাবুর্গির স্টেশন বাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং জানান স্বামী দু'মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে,নায়েক অশ্বিনী'র সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। পরে অশ্বিনী এই সম্পর্ক ভেঙে দেন এবং গুরুরাজের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। নায়েক যখন নতুন সম্পর্কের কথা জানতে পারেন, তখন নানাভাবে অশ্বিনীকে উত্যক্ত করা শুরু হয়৷ বারবার সম্পর্ক ঠিক করে নেওয়ার কথা বলেন।  বারবার একই ঘটনা ঘটতে থাকলে একটা পর্যায়ে অশ্বিনী বিরক্ত হয়ে তাঁর বর্তমান প্রেমিক গুরুরাজকে সবটা জানান৷ এরপরই গুরুরাজ আরেক বন্ধুর সঙ্গে মিলে হত্যার পরিকল্পনা করে৷ 

সূত্রে খবর, মামলার তদন্তের পর পুলিশ অশ্বিনী ওরফে তনু (২৬), গুরুরাজ (৩৬) এবং লক্ষ্মীকান্ত (২৮) কে গ্রেপ্তার করে।   পুলিশ আন্দাজ করেছে লিভ-ইন সম্পর্ক এই ধরণের ভয়াবহ কাজের কারণ হতে পারে। রায়চুর জেলার শক্তিনগরের কাছে কৃষ্ণা নদীতে রাঘবেন্দ্র নায়েকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাড়ি না ফেরায় তাঁর স্ত্রী সুরেখা পুলিশের কাছে যান। নায়েক ছোটখাটো কাজ করতেন। সেই সূত্রে কিছুদিন পর পর  বাড়ি ফিরতেন। প্রথমে সুরেখা ভেবেছিলেন এটা স্বাভাবিক।

 পুলিশ জানায়, ১২ মার্চ অশ্বিনী নায়েককে কালাবুর্গির সুপার মার্কেটের কাছে একটি সভাস্থলে ডাকেন। পৌঁছানোর পর, অভিযুক্তরা তাকে অপহরণ করে কৃষ্ণনগরের কাছে একটি কবরস্থানে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তারা নায়েককে নির্মমভাবে নির্যাতন করে। তাঁর গোপনাঙ্গে আঘাত করে।  অবশেষে তাকে হত্যা করে। এরপর অপরাধ গোপন করতে  মৃতদেহ রাইচুর জেলার কৃষ্ণা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। 

ঘটনার জেরে অভিযুক্তদের জেরা করা হয়েছে। বর্তমানে পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা চলছে। দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷