আজকাল ওয়েবডেস্ক: চাকরির টোপ দিয়ে ধর্ষণ। নির্মম যৌন নির্যাতনের পর, কলেজ ছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও তুলেও হুমকি। নির্যাতিতার মুখে অত্যাচারের বর্ণনা শুনেই শিউরে উঠেছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে। পুলিশ জানিয়েছে, চাকরির টোপ দিয়ে ২৩ বছর বয়সি এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। চাকরির নথিপত্র ভেরিফিকেশনের জন্য এক ব্যক্তি তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। সেই সুযোগে ফাঁকা ঘরে আটকে তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ধর্ষণের পর তরুণীর আপত্তিকর অবস্থার কিছু ভিডিও তুলে রেখেছিল অভিযুক্ত যুবক। ধর্ষণের বিষয়ে অভিযোগ জানালে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস করার হুমকিও দিয়েছিল সে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহে অভিযুক্তের সঙ্গে নির্যাতিতার আলাপ হয়েছিল। কলেজে যাওয়ার পথেই বাসেই তাঁদের আলাপ হয়। তারপর একটানা ওই বাসেই দেখাসাক্ষাৎ হত। ক্রমেই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তখনই অভিযুক্ত চাকরির প্রতিশ্রুতি দেয় নির্যাতিতাকে।
কাম্পু এলাকায় বাঁশি ভবনে কলেজ ছাত্রীকে ডেকে পাঠায় অভিযুক্ত যুবক। চাকরির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে আসার কথাও বলে। সেই নথিপত্র ভেরিফিকেশনের অজুহাতে তরুণীকে ফাঁকা বাড়িতে ডাকে। তরুণীকে ফাঁকা ঘরে আটকেই চলল নির্মম যৌন নির্যাতন। ধর্ষণের পরেই তরুণীর অশ্লীল ভিডিও তুলে রাখে।
সেদিন কাম্পু থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘিরে মামলা রুজু করে তদন্ত জারি রেখেছে তারা।
গত আগস্ট মাসে এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। বিজেপি শাসিত ওড়িশায় আবারও গণধর্ষণের ঘটনা ঘিরে তোলপাড়। এবার গণধর্ষণের শিকার ২২ বছরের এক তরুণী। আবারও ঘটনাস্থল ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায়। চাকরির টোপ দিয়ে তরুণীর দুই পরিচিত যুবক গাড়িতে তাঁকে তুলে রওনা দেয়। বাংরিপোশি এলাকা থেকে তরুণীকে গাড়িতে তোলে তারা। এরপর বাড়ি থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে উদালা থানার অন্তর্গত একটি জায়গায় তাঁকে নিয়ে যায় ওই দুই যুবক।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সেই গাড়িতেই অপরিচিত আরও তিনজন যুবক উঠে পড়ে মাঝ রাস্তায়। এরপর পাঁচজন মিলে তরুণীকে নির্জন একটি জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে পাঁচজনে মিলে তরুণীকে ধর্ষণ করে। নির্যাতিতা পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, গণধর্ষণের পর রাস্তাতেই তাঁকে ছুড়ে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বাকি তিনজনের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
