ইসলাম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম। বিশ্বব্যাপী ১৮০ কোটিরও বেশি অনুসারী রয়েছে। মুসলিমরা বিশ্ব জনসংখ্যার একটি বড় অংশ। আলজাজিরার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ইসলামী দেশগুলির সম্মিলিত অর্থনীতি ২০১৫ সালে ৩.২ ট্রিলিয়ন ডলার এবং ২০২১ সালে ৫.৭ ট্রিলিয়ন ডলার ছিল। গত দশকে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে এবং ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের শেষ তা ৭.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
2
13
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১০ বছরে ইসলামিক ফান্ডের বাজার ৩০০% এরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইয়াহু ফাইন্যান্স সম্প্রতি ৩০টি সবচেয়ে শক্তিশালী ইসলামিক দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে মোট জনসংখ্যার কমপক্ষে ৫০ শতাংশ মুসলিম।
3
13
রিপোর্টটিতে বিশ্বব্যাঙ্কের ২০২৩ সালের জিডিপি তথ্য এবং গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স ২০২৪ থেকে সামরিক শক্তির আনুমানিক হিসাব নেওয়া হয়েছে। এই মেট্রিক্সের উপর ভিত্তি করে সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশগুলির তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান থেকে শুরু করে তেল সমৃদ্ধ সৌদি আরব, ইরান, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ইন্দোনেশিয়া-সহ বিশ্বের ১০টি সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশের তালিকাটি দেখে নিন।
4
13
প্রথম স্থানে তুরস্ক। আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামিক দেশ না হলেও, জনসংখ্যার বেশিরভাগই মুসলিম। ন্যাটো সদস্য দেশ হিসেবে তুরস্ক সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে, বিশেষ করে সিরিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তুরস্ক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারকদের মধ্যে অন্যতম দেশ হিসেবে সামনে এসেছে। উন্নত সামরিক ড্রোন তৈরিতে দক্ষতা চোখে পড়ার মতো। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশটি প্রতিরক্ষা রপ্তানি প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।
5
13
এরপরেই রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মতো অন্যান্য এশীয় প্রতিবেশীদের তুলনায় সামরিক শক্তির দিক থেকে অতটা এগিয়ে নয়। তবে, বিশ্বব্যাংকের মতে দেশটি একটি শক্তিশালী অর্থনীতি হিসেবে উঠে এসেছে। ২০২৪ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর গড়ে ৫.১% হারে স্থিতিশীলভাবে অর্থনীতি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
6
13
তেল সমৃদ্ধ সৌদি আরব বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি শক্তিশালী শক্তি। বিশ্বব্যাপী মাথাপিছু জিডিপি অনুপাতের দিক থেকে সেরা দেশগুলির মধ্যে একটি। সৌদি আরবের সেনাবাহিনীও যথেষ্ট শক্তিশালী। এর মধ্যে রয়েছে রয়্যাল সৌদি আর্মি, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিমান প্রতিরক্ষা এবং একটি পৃথক কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী।
7
13
চতুর্থ স্থানে পাকিস্তান। মূলত সামরিক শক্তির ভিত্তিতে তালিকার এতটা উপরে রয়েছে ভারতের প্রতিবেশী। অর্থনীতির হাল তথৈবচ হলেও সামরিক দিক থেকে যথেষ্ট শক্তিশালী। অন্যতম পরমাণু শক্তিধর দেশও।
8
13
ইজরায়েল এবং তার মিত্র দেশের চক্ষুশূল ইরান রয়েছে পঞ্চম স্থানে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ইরান। ২০২৪ সালে মধ্যপ্রাচ্যে মিশরের পর ইরানের সামরিক বাহিনীর দিক থেকে সবচেয়ে বৃহত্তম।
9
13
আলজেরিয়ার অর্থনীতির পুরোটাই নির্ভর করে রয়েছে তেল এবং গ্যাসের উপর। দেশটির রাজস্বের ৯৫ শতাংশ এবং মোট জিডিপি-র ৩০ শতাংশ আসে এই প্রাকৃতিক ভাণ্ডার থেকেই।
10
13
মাত্র ১ কোটি জনসংখ্যার দেশ আরব আমিরশাহি ইসলাম জগতে বেশ প্রভাবশালী। পর্যটনের জন্য বিখ্যাত এই দেশ। পরিকাঠামোগত দিক থেকেই খুবই উন্নত। দেশটির স্বাক্ষরতার হারও ৯৫% -এর বেশি। দেশটি প্রযুক্তি দিক থেকে বেশ উন্নত। সম্প্রতি মঙ্গল অভিযান করেছে।
11
13
মালয়েশিয়া বিগত কয়েক বছরে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থাগুলি এই দেশে বিপুল বিনিয়োগ করছে। ২০২৪ সালে মাইক্রোসফ্ট এআই এবং ক্লাউড পরিকাঠামোর জন্য ২.২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
12
13
দশকের পর দশক ধরে যুদ্ধে জর্জরিত ইরাক এখনও অন্যতম বিশ্বশক্তি। এর কারণ সামরিক শক্তি। প্রায় দু'লক্ষ সামরিক সেনা রয়েছে ইরাকের। ২০২৩ সালে ইরাকের সামরিক বাজেট থিল ১০.৩ বিলিয়ন ডলার।
13
13
ভারতের সাথে সুসম্পর্ক থাকা কাজাখস্তান বিশ্বব্যাপী দশম শক্তিশালী মুসলিম দেশ। অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল দেশটি একটি উদীয়মান সামরিক শক্তিও।