পৃথিবী ছাড়া এই সৌরমণ্ডলে আর দু’টি গ্রহ- বৃহস্পতি এবং শনিরই উপগ্রহ রয়েছে। এর মধ্যে শনির ‘চাঁদ’টাইটানে বিশাল বিশাল সমুদ্রের হদিশ পেয়েছিল মহাকাশযান ক্যাসিনি। টাইটানের অজানা তথ্য জেনে নিন।
2
6
সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপগ্রহ টাইটানের ব্যাস ৫১৪৯ কিলোমিটার। এটি সৌরজগতের একমাত্র চাঁদ যার একটি ঘন বায়ুমণ্ডল রয়েছে। মূলত নাইট্রোজেন এবং মিথেনের সংমিশ্রণ। এর ফলে বায়ুমণ্ডলের আভা ঘোলাটে কমলা রঙের।
3
6
টাইটানের পৃষ্ঠদেশে ৬ লক্ষ ২০ হাজার বর্গ মাইল বা ১৬ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন সাগর, মহাসাগর। যা টাইটানের পৃষ্ঠদেশের দুই শতাংশ। এই সমুদ্রগুলি রয়েছে টাইটানের উত্তর মেরুতে। তাদের নাম ‘লাইগেইয়া মেয়ার’, ‘ক্র্যাকেন মেয়ার’ ও ‘পাঙ্গা মেয়ার’। এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মহাসাগরটির নাম- ‘ক্র্যাকেন মেয়ার’। ‘লাইগেইয়া’ দ্বিতীয় বৃহত্তম। ‘ক্র্যাকেন মেয়ার’ আকারে কাস্পিয়ান সাগরের চেয়েও বড়।
4
6
বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস টাইটানের মাটির নীচেও সমুদ্র রয়েছে। সেই তরল জল এবং অ্যামোনিয়ার মিশ্রণ হতে পারে। সেই তরলে আণবিক প্রাণের খোঁজও মিলতে পারে বলে বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের।
5
6
টাইটানের একটি দিক সবসময় শনির দিক করেই থাকে। এর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে জোয়ার-ভাঁটা হয় শনিতে। ১৫ দিন ২২ ঘণ্টায় একবার শনিকে প্রদক্ষিণ করে টাইটান।
6
6
মিথেনে ভরা মহাসাগরের অস্তিত্ব কী শনির চাঁদে প্রাণের সম্ভাবনাকে সত্যি-সত্যিই জোরদার করে তুলেছে? নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ‘‘টাইটানের ‘বায়ুমণ্ডলে’ প্রচুর জৈব অণুর হদিশ মিলেছে। তার ফলে, আগামী দিনে অণুজীবের মতো ‘প্রাণে’র হদিশ মিলতেই পারে শনির ‘চাঁদ’- টাইটানেও।