অশ্লীল কনটেন্ট দেখা এখন তরুণদের মধ্যে এক নীরব মানসিক সংকটে পরিণত হচ্ছে। অস্থি ও স্পোর্টস সার্জন ডা. মনন ভোরা সতর্ক করেছেন—এই আসক্তি ধূমপান বা মদ্যপানের চেয়েও ক্ষতিকর হতে পারে।
2
10
ইন্টারনেটে সহজলভ্য পর্নোগ্রাফি অনেক তরুণকে অনিচ্ছাকৃতভাবে আসক্ত করছে। যা প্রথমে নির্দোষ মনে হলেও, ধীরে ধীরে তা মানসিক নির্ভরশীলতায় রূপ নেয়।
3
10
ডা. ভোরা স্পষ্ট বলেছেন—তিনি কাউকে লজ্জা দিতে নয়, সচেতন করতে চান। এই অভ্যাস কীভাবে মস্তিষ্ক ও আবেগকে প্রভাবিত করে, সেটিই তুলে ধরাই তাঁর উদ্দেশ্য।
4
10
নিয়মিত পর্ন দেখা মস্তিষ্কের পুরস্কার ব্যবস্থাকে অতিরিক্ত উদ্দীপ্ত করে তোলে। চিনি, জুয়া বা মাদক—সবই একই অংশে প্রভাব ফেলে, ফলে মস্তিষ্ক ক্রমে আরও বেশি উত্তেজনা খোঁজে।
5
10
অতিরিক্ত উদ্দীপনায় মস্তিষ্ক অভ্যস্ত হয়ে গেলে সাধারণ জীবনের আনন্দ ফিকে হয়ে যায়। যা আগে আনন্দ দিত, এখন আর তা সুখ দেয় না—বাড়ে অস্থিরতা ও শূন্যতা।
6
10
ডা. ভোরা বলেন, এই অভ্যাসে উদ্বেগ, অবসাদ ও একাকীত্ব বেড়ে যায়। ডোপামিনের ভারসাম্য নষ্ট হলে মনোযোগ ও উদ্যমও কমে যায়।
7
10
অনেকে একঘেয়েমি বা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে এমন কনটেন্ট দেখেন। কিন্তু ধীরে ধীরে এটি এক চক্রে পরিণত হয়—চাপ থেকে দেখার অভ্যাস, আর অভ্যাস থেকে আরও চাপ।
8
10
অনেকে ডা. ভোরার বার্তাকে সমর্থন জানিয়েছেন। অনেকে বলেছেন, “এগুলো বন্ধ করার পর আমি অনেক হালকা ও মানসিকভাবে পরিষ্কার বোধ করেছি।”
9
10
নেটিজেনরা এই সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে ডাক্তারের সাহসী পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। অনেকে আবার চেয়েছেন—এই আসক্তি থেকে মুক্তির কার্যকর উপায় জানাতে।
10
10
পর্ন আসক্তি নৈতিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা। সমস্যা স্বীকার করে সাহায্য নেওয়া এবং ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তোলাই মুক্তির প্রথম ধাপ।