সময়ের সঙ্গে বাড়ছে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণও হৃদরোগ। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, অনিয়মিত জীবনধারা, শরীরচর্চা অভাব সহ বিভিন্ন কারণে শরীরে বাসা বাঁধছে বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগ। যার মধ্যে অল্প বয়সিদের মধ্যেও ঝুঁকি বাড়ছে হার্ট ব্লকেজের।
2
7
করোনারি আর্টারি ডিজিজ বা হার্ট ব্লকেজ হল এমন এক নীরব ঘাতক যার প্রাথমিক লক্ষণগুলো যদি সময়মতো চেনা না যায়, তবে বিপদ ঘনিয়ে আসতে সময় লাগে না। আর এই মারণ রোগ ঠেকাতে খাদ্যাভাসে বদল আনা জরুরি। কিছু সবজি রয়েছে যেগুলো নিয়মিত খেলে ধমনীর ব্লকেজ কমে এবং হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা বিশেষভাবে তিনটি সবজি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখার পরামর্শ দেন।
3
7
সবুজ শাকঃ পালং শাক, কেলে, লেটুস ইত্যাদি গাঢ় সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন কে, ডায়েটারি নাইট্রেট এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এগুলো রক্তনালীকে নমনীয় রাখে, ধমনীতে চর্বি জমার আশঙ্কা কমায় এবং রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত এসব শাক খায় তাঁদের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি ২০–২৫% পর্যন্ত কমে।
4
7
গাজরঃ গাজরে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এটি শরীরে প্রদাহ কমায়, রক্তনালীর ক্ষতি রোধ করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। নিয়মিত গাজর খেলে কোলেস্টেরল কমে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
5
7
টমেটোঃ টমেটোতে আছে লাইকোপিন, যা কোলেস্টেরল কমিয়ে রক্তনালীর ভেতরে প্ল্যাক জমতে বাধা দেয়। নিয়মিত টমেটো খেলে হৃদরোগ ও ধমনী ব্লকেজের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে।
6
7
কীভাবে খাবেনঃ চিকিৎসকদের মতে, প্রতিদিন প্রায় ১.৫ কাপ প্রায় ২৫০ মিলি করে এই সব সবজি খাদ্যতালিকায় রাখলে হার্ট ব্লকেজ প্রতিরোধ করতে পারবেন। স্যালাদ, স্যুপ বা যে কোনওভাবে রান্না করে এগুলো খাওয়া যায়।
7
7
এছাড়াও হৃদরোগ এড়াতে নিয়মিত শাকসবজি ও ফল খান। তেল ও নুন খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন। ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম করুন।