এএইচইআই হল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি একটি বিশেষ স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা, যা দীর্ঘমেয়াদে রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। প্রায় ৩০ বছর ধরে এক লক্ষ মানুষের ওপর করা গবেষণায় দেখা গেছে, এই ডায়েট বয়স বাড়লেও শরীরকে সুস্থ রাখতে সক্ষম। এটি মূলত উদ্ভিজ্জ খাবার ও সুষম ফ্যাটের ওপর নির্ভর করে। নিয়মিত মেনে চললে গুরুতর অসুখের ঝুঁকি কমে যায়।
2
5
হার্ভার্ডের গবেষণায় দেখা গেছে, এএইচইআই মেনে চলা ৮৬% মানুষ ৭০ বছর বয়সেও গুরুতর রোগে আক্রান্ত হননি। হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস ও কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। খাদ্যাভ্যাস যে দীর্ঘায়ুর বড় চাবিকাঠি, তা স্পষ্ট হয়েছে গবেষণায়। সঠিক খাবার শরীরকে দীর্ঘমেয়াদে সুরক্ষা দেয়।
3
5
এই ডায়েটে শাকসবজি, ফল, বাদাম, ডাল ও দানাশস্যকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। উদ্ভিজ্জ খাবারের ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরকে ভেতর থেকে শক্তি জোগায়। এগুলো প্রদাহ কমায় এবং হজমশক্তি উন্নত করে। প্রতিদিন প্লেটে বেশি বেশি রঙিন উদ্ভিজ্জ খাবার রাখাই এএইচইআই-এর মূল।
4
5
অলিভ অয়েল, সর্ষের তেল, ঘি, বাদাম ও তৈলাক্ত মাছের মতো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এএইচইআই-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এগুলো হৃদ্স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং শরীরের প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে। মাছ, ডিম, দইয়ের মতো প্রাণিজ খাবার পরিমিত মাত্রায় গ্রহণ করা যায়। সুষম ফ্যাট–প্রোটিনের সমন্বয় শরীরে স্থায়ী শক্তি তৈরি করে।
5
5
চিনিযুক্ত পানীয়, রেড মিট, সসেজ–সালামির মতো প্রক্রিয়াজাত মাংস এএইচইআই-এ নিষিদ্ধ। এগুলো শরীরের প্রদাহ বাড়ায় এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ট্রান্স ফ্যাট, ময়দা, সুজি ও সাদা ভাতের পরিবর্তে হোল-গ্রেইন খেতে বলা হয়। অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দিলেই শরীর দ্রুত সুস্থতার দিকে এগোয়।