সুরের দুনিয়ায় এমন কিছু কারখানা আছে, যা কেবল গান তৈরি করেই বিখ্যাত নয়, তাদের স্থাপত্য আর পারিপার্শ্বিক শোভাও মুগ্ধ করার মতো। প্রযুক্তির সঙ্গে চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য যেখানে হাত ধরাধরি করে চলে।
2
7
১) লন্ডন-এর অ্যাবি রোড স্টুডিওজ: লন্ডনে অবস্থিত এই স্টুডিওকে সঙ্গীতের মহাতীর্থ বললেও অত্যুক্তি হয় না। বিটলস-এর মতো ব্যান্ড থেকে শুরু করে আরও বহু কিংবদন্তির সৃষ্টি এইখানে। এখানকার স্থাপত্যে সঙ্গীতের এক লম্বা ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে। স্টুডিওর বাইরে থাকা বিখ্যাত জেব্রা ক্রসিং আজও হাজারো পর্যটকের ভিড় টানে।
3
7
২) নরওয়ের ওশেন সাউন্ড: প্রকৃতির কোলে অবস্থিত এই স্টুডিও। নরওয়ের এক নির্জন দ্বীপে, সমুদ্রের একেবারে ধারে তৈরি স্টুডিওটি। এর চেয়ে সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ আর কোথায় মিলবে? কাঁচের জানলা দিয়ে দেখা যায় শুধু দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র। এমন শান্ত ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সুরকারদের মন এমনিতেই অনেক শান্ত ও সৃজনশীল হয়ে ওঠে।
4
7
৩) নিউ ইয়র্কের ইলেকট্রিক লেডি স্টুডিওজ: রক-এর জন্মস্থান এখানেই৷ রক মিউজিকের কিংবদন্তি জিমি হেন্ড্রিক্স ১৯৭১ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এর ভেতরের বিচিত্র শিল্পকর্ম এবং স্থাপত্যে রক মিউজিকের সেই সময়ের একটা ছাপ রয়েছে। এখানকার পরিবেশ যেন শিল্পীকে অন্য এক জগতে নিয়ে যায়। বহু বড় মাপের শিল্পী এখানে কাজ করেছেন।
5
7
৪) যুক্তরাজ্যের রিয়েল ওয়ার্ল্ড স্টুডিওজ: বিখ্যাত শিল্পী পিটার গ্যাব্রিয়েল এই স্টুডিও তৈরি করেন। ইংল্যান্ডের নিরিবিলি গ্রামীণ অঞ্চলে একটি পুরোনো অংশকে নতুনভাবে সাজিয়ে এটি তৈরী। এখানকার পরিবেশও বেশ আরামদায়ক ও মুক্ত।
6
7
৫) ন্যাশভিলের ব্ল্যাকবার্ড স্টুডিও: অ্যাকোস্টিক-এর জাদুঘর এই স্টুডিও। সঙ্গীতের রাজধানি ন্যাশভিলে থাকা এই স্টুডিওটি আধুনিকতার প্রতীক। এখানে নটি রেকর্ডিং রুম আছে। এখানকার অ্যাকোস্টিক অর্থাৎ শব্দ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এতই উন্নত যে এটি নিজেই একটি শিল্পকর্মের সমান। এক কথায় আন্তর্জাতিক মানের।
7
7
৬) ফ্রান্সের লা ফ্যাব্রিক: ফ্রান্সের দক্ষিণে একটি উনিশ শতকের প্রাচীন প্রাসাদকে বদলে এই স্টুডিও তৈরি করা হয়েছে। এখানকার প্রতিটি ঘরের ডিজাইন আলাদা। বিশেষ করে কাঠের ও কাঁচের তৈরি 'লাইব্রেরি' রুমের অ্যাকোস্টিকের তুলনা হয়না।