আজকাল ওয়েবডেস্ক: সারা বিশ্ব কদর করে প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের অথচ আমরা ভারতীয়রাই সেই শাস্ত্র ভুলতে চলেছি। প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এমন দুই ভেষজের উল্লেখ আছে যা একাধিক রোগ নির্মূলে সাহায্য করতে পারে। সংস্কৃত নাম তিন্দিশা এবং হরিদ্রা। বাংলায় যথাক্রমে ঢেঁড়স এবং হলুদ। জানেন সকালে খালি পেটে হলুদ মেশানো ঢেঁড়সের জল পান করলে কী কী উপকার পাওয়া যায়?
2
9
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: ঢেঁড়সে থাকা ফাইবার এবং বিভিন্ন যৌগ রক্তে শর্করার শোষণের গতি কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, হলুদের কারকিউমিন ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়। ফলে, এই মিশ্রণ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
3
9
হজম ক্ষমতার উন্নতি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণ: ঢেঁড়সের পিচ্ছিল জল অন্ত্রের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে এবং খাদ্যবস্তুর চলাচল মসৃণ করতে সাহায্য করে। হলুদ হজমে সহায়ক এনজাইম নিঃসরণ বাড়ায়। এই দুইয়ের যুগলবন্দিতে হজম সংক্রান্ত সমস্যা, বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
4
9
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: হলুদে থাকা কারকিউমিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। ঢেঁড়সেও রয়েছে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই মিশ্রণ নিয়মিত সেবনে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে ওঠে, যা বিভিন্ন সংক্রমণ ও অসুস্থতা থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
5
9
ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী: ঢেঁড়সে থাকা ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাট রাখতে সাহায্য করে, ফলে অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণের প্রবণতা কমে। হলুদ মেটাবলিজম বাড়াতে এবং ফ্যাট বার্ন করতে সহায়ক। তাই ওজন কমানোর ডায়েটে এই পানীয় একটি অত্যন্ত উপকারী সংযোজন হতে পারে।
6
9
হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায় ভূমিকা: ঢেঁড়সের ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রক্তনালীর স্বাস্থ্য রক্ষা করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এই পানীয় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন অনেকে।
7
9
ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি: হলুদের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ ত্বকের ব্রণ ও অন্যান্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। ঢেঁড়সে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে সতেজ রাখে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে।
8
9
শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূরীকরণ (ডিটক্সিফিকেশন): ঢেঁড়স এবং হলুদ উভয় উপাদানই লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। ফলে শরীর ভেতর থেকে পরিশোধিত হয় এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।
9
9
তবে মনে রাখবেন, এই ঘরোয়া প্রতিকার বহুলাংশে নিরাপদ হলেও, কোনও বিশেষ শারীরিক সমস্যা থাকলে বা নিয়মিত কোনও ওষুধ সেবন করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। এই তথ্য কোনওভাবেই চিকিৎসার বিকল্প হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়।