১৯৫০ থেকে ’৮০- বাংলা ছবির যে অফুরান ঐশ্বর্য, তার তালিকা নিয়ে বসলে অনেকের কথাই উঠে আসবে, কিন্তু হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো-বা কিছুটা পিছন দিকে থাকবেন। লোকে ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’, ‘কাপুরুষ’ ‘চৌরঙ্গী’ আর ‘মহানগর’ বারবার দেখবে, বারবার বলবে যে, হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া এই চরিত্রগুলোতে কাউকে ভাবাই যায় না, কিন্তু হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাপারে আলাদা করে ভাববে না। বেঁচে থাকলে আজ তাঁর বয়স পা রাখত ৯৯-এর চৌকাঠে।
2
6
১৯৪৮-এ ‘দেবদূত’ সিনেমার হাত ধরে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে আত্মপ্রকাশ করেন হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর শতাধিক বাংলা সিনেমায় দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে এসেছেন শক্তিশালী এই অভিনেতা।
3
6
সত্যজিৎ রায়ের অত্যন্ত প্রিয় অভিনেতা ছিলেন হারাধন। ‘মানিকদা’কে নিজের জীবনে ঈশ্বর বা ঈশ্বরপ্রেরিত বলে মনে করতেন তিনি। তাই তো সত্যজিতের অনুরোধে ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’ ছবিতে এক মিনিটেরও কম দৃশ্যে এক নির্বাক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন হারাধন।
4
6
শুধু তাই নয়, সত্যজিতের নির্দেশের পাশাপাশি একপ্রকার অনুরোধে ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ ছবিতে নিজের অভিনীত চরিত্র ‘উমানাথ ঘোষাল’-এর স্ত্রীর ভূমিকায় নিজের স্ত্রী পরিণীতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজি করিয়েছিলেন অভিনয়ের জন্য।
5
6
হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনয় করেছেন ‘বরফি’, ‘পরিণীতা’র মত ভুল জনপ্রিয় হিন্দি ছবিতেও। ২০০৫-এ ক্রান্তিকাল-র জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ সহ অভিনেতার জাতীয় পুরষ্কার পান।
6
6
নিজের অফুরান প্রাণশক্তির রহস্যর কথা বলতে গিয়ে সদা হাস্যময় এই অভিনেতা একবার বলেছিলেন, “জাস্ট ফল আর দু-পেগ স্কচ।”