কিডনি আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা মূত্র থেকে শুরু করে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ সহ একাধিক জরুরি কাজ একা হাতে সামলায় এই অঙ্গ। তাই সুস্থ থাকতে বৃক্কের হাল ঠিক রাখা জরুরি।
2
9
মানুষের শরীরে কিডনির সংখ্যা দু’টি, তাই একটি বিকল হলেও কাজ চলতে পারে অন্যটি দিয়ে। ফলে অন্যান্য অঙ্গের মতো প্রথমেই কিডনির ক্ষতির আঁচ বাইরে থেকে পাওয়া যায় না। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিডনির সমস্যায় চিকিৎসায় দেরি হয়ে যায়। কিডনি যদি ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তখন শরীর নানা সংকেত দিতে শুরু করে।
3
9
শরীরের যে কোনও পরিবর্তনই আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। বিশেষ করে ত্বক যা পুরো দেহের প্রতিচ্ছবি, কিডনির রোগের আগাম ইঙ্গিতও এই ত্বকে ধরা পড়ে। যা অবহেলা করলে ভবিষ্যতে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
4
9
শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকঃ যদি ত্বক অস্বাভাবিকভাবে শুষ্ক, নির্জীব দেখায়, তাহলে তা কিডনির দুর্বলতার ফল হতে পারে। কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে ত্বকে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা পৌঁছয় না, ফলে ত্বক ফেটে যায়, চুলকায় বা ধূসর হয়ে পড়ে।
5
9
অতিরিক্ত চুলকানিঃ কিডনি কাজ না করলে শরীরে বর্জ্য পদার্থ জমে ঘন ঘন চুলকানি হয়। অনেক সময় এই চুলকানি রাতে বাড়ে এবং সাধারণ কোনও ময়শ্চারাইজার বা অ্যান্টি-ইচিং ক্রিমে আরাম পাওয়া যায় না। এই দীর্ঘস্থায়ী চুলকানি অনেক সময় কিডনির রোগের প্রথম বড় সতর্ক সংকেত হতে পারে।
6
9
র্যাশ, ফুসকুড়ি বা ত্বকে দাগঃ অনিয়ন্ত্রিত চুলকানি থেকে ত্বকে ছোট ছোট গুটি, র্যাশ বা লাল দাগ দেখা দিতে পারে। কখনও ক্ষত পর্যন্ত হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, এমন ত্বকজনিত পরিবর্তন সাধারণ অ্যালার্জির থেকেও জটিল সমস্যা ইঙ্গিত দেয়।
7
9
ত্বকের রং পরিবর্তনঃ কিডনির রোগে ত্বক ধূসর, হলদেটে, কালচে বা অস্বাভাবিক টোনের হতে পারে। টক্সিন জমে রঙের ভারসাম্য নষ্ট হয়, ফলে ত্বক প্রাণহীন এবং রুক্ষ দেখায়।
8
9
ফোলাভাব বা জল জমাঃ চোখের নিচে, মুখে, হাতে বা পায়ে হঠাৎ ফোলাভাব দেখা দিলে সেটিও কিডনি বিপদের সংকেত। কিডনি ঠিকভাবে লবণ ও জল বের করতে না পারলে শরীরের নানা অংশে জল জমে এডিমা তৈরি করে।
9
9
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন? ত্বকের এসব লক্ষণের সঙ্গে যদি প্রস্রাবের রং বদল, ক্লান্তি, হাত-পা ফোলা, শরীর ভারী লাগা বা বমিভাব দেখা যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।