বিশ্বের সবচেয়ে সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগের নাম আইপিএল। ক্রিকেট ও বিনোদনের সম্পূর্ণ এক প্যাকেজ। প্রথম দিন থেকেই তা সুপার ডুপার হিট। ১৮ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে ব্র্যান্ড আইপিএলের। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনা কিন্তু আগের মতোই।
2
11
তবে সম্প্রতি যে খবর প্রকাশ্যে এসেছে তাতে জানা যাচ্ছে অপ্রত্যাশিত এক অর্থনৈতিক ধাক্কার মুখে আইপিএল। আইপিএলের ব্র্যান্ডভ্যালু পড়তির দিকে। কিন্তু ব্র্যান্ড ভ্যালু পড়তির দিকে কেন?
3
11
২০২৩ সালে আইপিএলের ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল ৯২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ২০২৪ সালে তা নেমে যায় ৮২ হাজার ৭০০ কোটি টাকায়। ২০২৫ সালে তা আরও কমে যায়। দাম হয় ৭৬ হাজার ১০০ কোটি। অর্থাৎ গত দুই বছরের হিসেব অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে আইপিএলের ব্র্যান্ড ভ্যালু কমেছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা।
4
11
ব্র্যান্ড ভ্যালু কমলেও মাঠের ভিতরে কিন্তু দর্শকদের উৎসাহ-উদ্দীপনার অভাব নেই। প্রতিটি ম্যাচেই গ্যালারি ভর্তি থাকে কাণায় কাণায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাঠের ক্রিকেট নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনা বজায় থাকলেও আইপিএলের ব্র্যান্ডভ্যালু কমার পিছনে রয়েছে অন্য কারণ।
5
11
আর্থিক পরামর্শ প্রতিষ্ঠান ডি অ্যান্ড পি অ্যাডভাইজরির ‘বিয়ন্ড ২২ ইয়ার্ডস-দ্য পাওয়ার অব প্ল্যাটফর্মস, দ্য প্রাইস অব রেগুলেশন- আইপিএল অ্যান্ড ডব্লিউপিএল ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট ২০২৫’-এ এই সব তথ্য উঠে এসেছে।
6
11
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ১০.৬ শতাংশ ব্র্যান্ড ভ্যালু কমেছিল আইপিএলের। আর এবার তা কমেছে ৮ শতাংশ।
7
11
২০০৮ সালে আইপিএলের জন্ম। তার পর থেকে আকারে-আয়তনে বেড়েছে আইপিএল। ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রবল লড়াই করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য। ঋষভ পন্থের মতো খেলোয়াড়ের দর উঠেছে ২৭ কোটি টাকা। এগুলো সবই ইতিবাচক দিক। কিন্তু সার্বিক ভাবে আইপিএলের ব্র্যান্ডভ্যালু কিন্তু কমছে। অর্থাৎ একদিকে যেমন প্লেয়ারদের দর বাড়ছে, আকাশছোঁয়া মূল্য হচ্ছে তারকাদের, সেই সঙ্গে ব্র্যান্ড ভ্যালু কিন্তু কমে যাচ্ছে। যেটা চিন্তার দিক বলেই মনে করছেন অনেকে।
8
11
দুই বছরে ১৬ হাজার কোটি টাকা কমার পিছনের কারণ হিসেবে মিডিয়া রাইটসের কথা তুলে ধরা হচ্ছে। ২০২৪ সালে ডিজনি স্টার ও ভায়াকম ১৮ একত্রিত হয়ে তৈরি হয় জিওস্টার। এর ফলে আইপিএল-এর টেলিভিশন ও ডিজিটাল স্বত্ব চলে আসে একই ছাতার তলায়।
9
11
এর ফলে বিডিং প্রক্রিয়াও থেমে যাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে একচেটিয়া বাজার। মিডিয়ার সঙ্গে চুক্তি থেকে অর্থের অঙ্কও যাচ্ছে কমে।
10
11
আরও একটা বড় কারণ হল, ফ্যান্টাসি ও অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলোর উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়া। এই প্ল্যাটফর্মগুলোকে বিজ্ঞাপন হিসেবেই ধরা হত। টেলিভিশন বিজ্ঞাপন, টাইটেল স্পনসরশিপ ও দলীয় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে এগুলো আসলে ব্র্যান্ডকেই প্রচার করত।
11
11
২০২৫ সালের জুলাইয়ে এদেশে প্রমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অনলাইন গেমিং অ্যাক্ট কার্যকর হওয়ায় অর্থনির্ভর গেমের বিজ্ঞাপন ও স্পনসরশিপ নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে এই খাত থেকে আয়ের পথও গিয়েছে বন্ধ হয়ে। দেখা যাচ্ছে ঘাটতি।