শীতকাল এলেই খাবারদাবার নিয়ে মানুষের মনে নানা ধরনের ধারণা তৈরি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত একটি বিশ্বাস হল, শীতে দই খেলে সর্দি, কাশি বা জ্বর হয়। যার ফলে শীতের সময় অনেকেই দই খাওয়া এড়িয়ে চলেন। কিন্তু আয়ুর্বেদ এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে।
2
6
আসলে সঠিক সময়ে এবং পদ্ধতিতে দই খেলে শীতকালে এটি শরীরের জন্য এক প্রকার সুপারফুড। দই শুধু হজমশক্তি ঠিক রাখে না, বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়, যা শীতকালে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
3
6
দই একটি প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক খাবার, যাতে উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে এবং পাচনতন্ত্রকে মজবুত করে। শীতকালে মানুষ সাধারণত কম জল পান করে। ভারী এবং ভাজাভুজি খাবার বেশি খায়, যার ফলে গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা বাড়ে। এমন পরিস্থিতিতে দই এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
4
6
শীতের সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ঠান্ডা বাতাস, তাপমাত্রার ওঠানামা এবং ভাইরাল সংক্রমণের কারণে মানুষ সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক এবং পুষ্টি উপাদান শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে সহায়ক। এটি শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয় এবং সর্দি-কাশির মতো সাধারণ অসুখ থেকে রক্ষা করে।
5
6
অনেকে মনে করেন, দই শরীর ঠান্ডা করে, তাই শীতে এটি খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু বাস্তবে দই শরীরের তাপমাত্রা ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। সঠিকভাবে দই খেলে শরীরের উপর এর কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না।
6
6
শীতকালে দই খাওয়ার সঠিক সময় ও পদ্ধতিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। দিনের বেলায়, বিশেষ করে দুপুরে দই খাওয়াই সবচেয়ে ভাল। রাতে খুব ঠান্ডা দই খেলে কিছু মানুষের কফ জমার সমস্যা হতে পারে, তাই রাতে দই এড়িয়ে চলাই ভাল। দইয়ের সঙ্গে সামান্য ভাজা জিরে, গোলমরিচ বা সন্ধক নুন মিশিয়ে খেলে তা আরও উপকারী হয়।