সময়ের সঙ্গে বাড়ছে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্বজুড়ে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, অনিয়মিত জীবনধারা, শরীরচর্চা অভাব সহ বিভিন্ন কারণে অল্প বয়সিদের মধ্যেও বাসা বাঁধছে বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগ। মারণ রোগ ঠেকাতে খাদ্যাভাসে বদল আনা জরুরি।
2
8
বেশ কিছু খাবার রয়েছে যা সাধারণত স্বাস্থ্যকর মনে হলেও আসলে হার্ট ও কিডনির জন্য ক্ষতিকর। এমনই রোজকার চেনা কয়েকটি খাবার ধীরে ধীরে মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
3
8
কলাঃ কলায় পটাসিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি। যদি কারওর কিডনির সমস্যা অথবা হৃদরোগের ওষুধ খান, তাহলে অতিরিক্ত পটাসিয়াম রক্তে জমতে পারে এবং ক্ষতিকর মাত্রায় পৌঁছতে পারে। তাই সেক্ষেত্রে বুঝেশুনে কলা খাওয়া উচিত।
4
8
বাতাবি লেবুঃ গ্রেপফ্রুট বা বাতাবি লেবু এমন একটি ফল, যা লিভারের মেটাবলিজম প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারে। বিশেষ করে হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট রোগীদের ক্ষেত্রে এটি কিছু ওষুধের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে।
5
8
পালং শাকঃ পালং শাকেও পটাসিয়াম থাকে অনেক এবং এটি ওয়ারফারিন অর্থাৎ রক্ত পাতলা করার ওষুধ-এর কার্যকারিতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এই পরিস্থিতি পালং শাক সীমিত খাওয়া উচিত।
6
8
সয়া সসঃ সয়া সস-এ সোডিয়ামের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি থাকে। সোডিয়াম বেশি হলে শরীরে জল ধরে রাখে, যার ফলে ওজন বাড়তে পারে এবং শ্বাসকষ্টর অনুভূতি হতে পারে। এটি বিশেষ করে হার্ট দুর্বল রোগীদের জন্য বিপজ্জনক।
7
8
ফ্লেভারড দইঃ স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে অনেকে ফ্লেভারড দই খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু ফ্লেভারযুক্ত দইতে অতিরিক্ত চিনি এবং কৃত্রিম উপাদান থাকে। এটি ওজন বৃদ্ধি ও প্রদাহ বাড়াতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর।
8
8
প্রোটিন বারঃ অনেকে ব্যায়াম বা ডায়েটের জন্য প্রোটিন বার খায়। তবে বেশিরভাগ প্রোটিন বার প্রক্রিয়াজাত চিনি এবং সিড অয়েল দিয়ে তৈরি, যা রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে হার্টের ধমনীতে চাপ সৃষ্টি হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।