রসুনে এমন অনেক সালফার যৌগ রয়েছে, যা ওষুধের মতো কাজ করে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যৌগ হল অ্যালিসিন, যা শরীরের নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া রসুনে থাকে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম এবং ফাইবার। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর। এই কারণেই আয়ুর্বেদে রসুনকে বলা হয় ‘প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক’।
2
7
শীতকালে রসুন খাওয়া বিশেষভাবে উপকারী। এতে থাকা অ্যালিসিন শরীরে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক বা দু’কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলে, অথবা দুধে ফোটানো রসুন খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় এবং ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা কমে।
3
7
নিয়মিত রসুন খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এটি শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের জন্য শীতকালে রসুন একটি দারুণ প্রাকৃতিক প্রতিকার।
4
7
রসুন কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে এবং ধমনিতে জমে থাকা চর্বি কমায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন দু’কোয়া রসুন খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। শীতে অনেকেই পেট ফোলা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা হজমের সমস্যায় ভোগেন। রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ অন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং হজমে সাহায্য করে। রাতে শোওয়ার আগে এক গ্লাস হালকা গরম জলের সঙ্গে এক কোয়া রসুন খেলে পেট পরিষ্কার থাকে ও হজম ভাল হয়।
5
7
শীতে ওজন কমাতে চাইলে রসুন হতে পারে আপনার প্রাকৃতিক সঙ্গী। এটি শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায় এবং ফ্যাট পোড়াতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে গরম জল ও লেবুর সঙ্গে রসুন খেলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়। রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ ত্বকের বলিরেখা, ব্রণ এবং চুল পড়ার সমস্যা কমায়। এটি শরীরকে ভিতর থেকে ডিটক্স করে, ফলে ত্বকে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
6
7
রসুন খাওয়ার নানা উপায় রয়েছে। সকালে খালি পেটে এক থেকে দু’কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান। দুধ বা গরম জলে ফোটানো রসুনও খেতে পারেন। রান্নার সময় ডাল, সবজি বা স্যুপে দিন। অথবা মধুর সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খান।
7
7
রসুন যতটা উপকারী, অতিরিক্ত খেলে ততটাই ক্ষতিকর হতে পারে। এটি রক্তচাপ অতিরিক্ত কমিয়ে দিতে পারে বা গ্যাসট্রিক সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই প্রতিদিন দু’তিন কোয়ার বেশি রসুন খাবেন না, এবং যদি অ্যালার্জি বা পেটে জ্বালা অনুভব করেন, তাহলে খাওয়া বন্ধ করুন।