বিশ্ববাজারে ট্রেড ওয়ার বা বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা চরমে পৌঁছনোর প্রেক্ষিতে সোমবার ভারতীয় শেয়ারবাজারে ব্যাপক পতন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক নীতির জেরে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, তারই প্রতিফলন ঘটেছে এশিয়া-সহ গোটা বিশ্বের বাজারে।
2
8
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই সেনসেক্স প্রায় ৪,০০০ পয়েন্ট এবং নিফটি ৫০ সূচক ২১,৭৫০-এর নিচে নেমে আসে। সকাল ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ সেনসেক্স ২,৭৫২ পয়েন্ট বা ৩.৬৫ শতাংশ পড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৭২,৬১৩ পয়েন্টে। নিফটি ৮৮২ পয়েন্ট বা ৩.৮৫ শতাংশ কমে পৌঁছয় ২২,০২২-এ। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে বিএসই-তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলির মোট বাজারমূল্য প্রায় ১৯ লক্ষ কোটি টাকা কর্পূরের মতো উবে যায়।
3
8
ট্রাম্পের শুল্ক নীতি ছাড়াও নানা সময়ে, ভিন্ন কারণে ব্যাপক পতন ঘটেছে ভারতীয় শেয়ার বাজারে। কখনও কারণ ভোটের ফলাফল, কখনও কারণ করোনা।
4
8
হর্ষদ মেহতা স্ক্যাম ক্র্যাশ ১৯৯২- হর্ষদ মেহতা স্ক্যাম ছিল ভারতের শেয়ার বাজারের প্রথম বড় ধাক্কা। ৪,০০০ কোটি টাকারও বেশি এই কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আসে ১৯৯২ সালে। সে বছর ২৮ এপ্রিল সেনসেক্স একদিনে ৫৭০ পয়েন্ট বা ১২.৭% কমে যায়।
5
8
কেতন পারেখ স্ক্যাম ক্র্যাশ ২০০১- ২০০১-এর মার্চে কেতন পারেখ স্ক্যাম প্রকাশ্যে আসার পর ফের বড় পতন ঘটে ভারতীয় শেয়ার বাজারে। ২০০১ সালের ২রা মার্চ, সেনসেক্স ১৭৬ পয়েন্ট বা ৪.১৩% কমে যায়।
6
8
২০০৪ ভোটের ফলাফল- ২০০৪ সালের মে মাস। ভারতীয় রাজনীতিতে অপ্রত্যাশিত ভোটের ফলাফল বড় প্রভাব ফেলেছিল শেয়ার বাজারে। এনডিএ-কে হারিয়ে সেবার ক্ষমতায় আসে ইউপিএ। রাজনীতির পটভূমির এই বদলের ফলে ১৭ মে, ২০০৪ তারিখে, সেনসেক্স একদিনেই ১১.১% কমে যায়।
7
8
গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ক্রাইসিস ক্র্যাশ ২০০৮- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লেহম্যান ব্রাদার্সের পতনের ফলে সৃষ্ট ২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকট বিশ্বজুড়ে বড় প্রভাব ফেলেছিল। ২১শে জানুয়ারী, ২০০৮ তারিখে, সেনসেক্স ১,৪০৮ পয়েন্ট, ৭.৪% কমে যায়। ভারতীয় শেয়ার বাজারে এর প্রভাব পরবর্তী বেশ কয়েকদিন ধরেই অব্যাহত ছিল।
8
8
করোনা কাল ২০২০- করোনা গোটা বিশ্বকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। স্বাস্থ্যের সঙ্গে অবশ্যই বড় সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে অর্থনীতিকে। ২৩শে মার্চ, ২০২০ তারিখে, সেনসেক্স ৩,৯৩৫ পয়েন্ট অর্থাৎ ১৩.২% কমে যায়।