দিল্লীর এক সবুজ মাঠে বুধবার দেখা গেল এক অন্য রকম ছবি। ফুটবল যেন মুছে দিল বয়স, পদমর্যাদা আর পেশার সব বিভাজন। কারণ, দিনটি ছিল কিউবার কিংবদন্তি বিপ্লবী ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফিদেল কাস্ত্রোর জন্ম-শতবার্ষিকী।
2
8
প্রতি বছরের ১৩ অগাস্ট কিউবার ইতিহাসে বিশেষভাবে উদযাপিত হয় কাস্ত্রোর জন্মদিন। ২০২৫ সাল সেই তারিখকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলল—এ বছর তাঁর জন্মের ১০০ বছর পূর্ণ হল। সেই উপলক্ষে ‘ন্যাশনাল কমিটি ফর সলিডারিটি উইথ কিউবা’ আয়োজন করল ‘ফিদেল কাস্ত্রো সেন্টিনারি ফুটবল কাপ’।
3
8
টুর্নামেন্টের দিন মাঠে নেমে পড়লেন ভারতের প্রাক্তন ফুটবল অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া। তাঁর সঙ্গেই খেললেন সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি, যিনি এই বিশেষ ম্যাচে গোলকিপারের দায়িত্ব নিলেন।
4
8
এছাড়া মাঠে দেখা গেল এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য, কিষাণ সভার নেতা বিজু কৃষ্ণাণ এবং সিপিএম পলিট ব্যুরোর সদস্য অরুণ কুমারসহ আরও অনেককে। মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উপস্থিত থাকলেও, সবাই আসলে খেলছিলেন সংহতির আনন্দে।
5
8
দুটি দল ছিল মূল প্রতিযোগী—‘সলিডারিটি কমিটি একাদশ’ এবং ‘অ্যাম্বাসেডর একাদশ’। কিউবার রাষ্ট্রদূত জুয়ান কার্লোস মার্সান ও দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মাইকি দিয়াজ পেরেজ খেলার উদ্বোধন করেন। গ্যালারিতে উড়ছিল লাল পতাকা ও কিউবার জাতীয় পতাকা।
6
8
আয়োজকরা জানিয়েছেন, ফিদেল কাস্ত্রো খেলাধুলোর শক্তিতে বিশ্বাস করতেন। তাঁর মতে, খেলার মাধ্যমে মানুষ কেবল শরীরচর্চা করে না, বরং বন্ধন গড়ে তোলে, বিভেদ ভুলে একে অপরের কাছে আসে।
7
8
অনুষ্ঠানে বক্তারা স্মরণ করিয়ে দেন, কাস্ত্রো কেবল রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না; তিনি ছিলেন আন্তর্জাতিক সংহতির প্রতীক। তাঁর জীবনে আর্জেন্টিনার ফুটবল মহাতারকা দিয়েগো মারাদোনার সঙ্গে বন্ধুত্বও ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে।
8
8
খেলা শেষে কেউ হারজিত নিয়ে ভাবেননি। মাঠে ছিল হাসি, করমর্দন আর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানোর মুহূর্ত। আয়োজকদের ভাষায়, “এই ফুটবল কাপ আসলে ফিদেলের স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি—যেখানে খেলা মানে সমতা, ঐক্য এবং বিশ্বসংহতি।”