হু হু করে ছড়াচ্ছে করোনা। মে মাসের শেষ দিনগুলিতে তীব্র হয়েছে সংক্রমণ। ১৯ মে-র পর থেকে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৬ মে যেখানে সংখ্যা ছিল ১০১০, সেখানে ৩০ মে সংখ্যা পৌঁছয় ২৭১০-এ।
2
10
৩১ মে এক ধাক্কায় আরও কয়েক' শ বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩১ মে পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৩৯৫। একদিনেই নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৮৫জন।
3
10
স্বাভাবিক ভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধির দ্রুত গতিতে কপালে চিন্তার ভাঁজ। কিন্তু আচমকা এই পরিমাণ সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ কী? ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) জানিয়েছে যে পশ্চিম এবং দক্ষিণে নমুনাগুলির জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে দেখা গেছে যে নতুন রূপগুলি হল ওমিক্রন-এর উপ-রূপ, একটি স্ট্রেন যা ২০২২ সালে বড় প্রভাব ফেলেছিল।
4
10
বেশ কয়েকটি বিষয়, যেমন সংক্রমণের হার, সংক্রমণের রূপের দিকে নজর রেখে, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন নতুন ঢেউ নিয়ে এখনই চিন্তার কিছু নেই। তবে যেহেতু সকলের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সমান নয়, তাই বেশকিছু নিয়ম মেনে চললে চিন্তা থাকবে না তেমনটা।
5
10
তবে কী কী বিষয় এড়িয়ে গেলে এড়ানো যেতে পারে সংক্রমণ? প্রথমেই নজর দিতে হবে বায়ুচলাচলের দিকে। বদ্ধ জানালা, বদ্ধ ঘর নয়, বরং স্বাভাবিক বাতাস চলাচল প্রয়োজন।
6
10
প্রয়োজন টেস্ট করানোর। অনেক সময় করোনার উপসর্গকে জ্বর-জ্বালা বলে এড়িয়ে গেলে, সংক্রমণের বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। উলটে আরও বেশি করে অজান্তেই ছড়িয়ে পরে তা।
7
10
পরিচ্ছন্ন থাকতে কেবল হাত ধোওয়া নয়, পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, যেমন-ব্যাগ, ফোন।
8
10
মোবাইল ফোন অনেকসময় কয়েক ঘণ্টা এমনকি পরের দিনেও ভাইরাস বহন করতে সক্ষম।
9
10
ঊল্লেখ্য, এই মুহূর্তে সংক্রমিতের সংখ্যা ১৩৩৬। ৩০ মে-র পর, একদিনে সে রাজ্যে সংক্রমণ বেড়েছে ১৮৯। মহারাষ্ট্রে সংক্রমিতের সংখ্যা ৪৬৭। ৩০মে-র পর সে রাজ্যে এক ধাক্কায় ৪৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দিল্লিতে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৩৭৫। ৩০ মে-র পর নতুন করে ৮১ জন আক্রান্ত হয়েছেন দিল্লিতে।
10
10
গুজরাটে ৩০ মে-র পর নতুন করে ৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সে রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ২৬৫। কর্ণাটকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৪, তামিলনাডুতে ১৮৫, উত্তরপ্রদেশে ১১৭। বাংলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০৫। ৩০ মে-র পর, একদিনেই রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯জন। একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।