আজকাল ওয়েবডেস্কঃ শরীরের জন্য নিয়মিত ফল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। সব ফলই বিভিন্নভাবে উপকার করলেও কিছু ফল শরীরকে টক্সিনমুক্ত করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে লিভার ও কিডনি থেকে বর্জ্য দূর করতে কয়েকটি ফলের ভূমিকা রয়েছে। আসলে লিভার ও কিডনি, দুটি অঙ্গই শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বৈজ্ঞানিকভাবে লিভার ও কিডনিকে ভাল রাখতে সাহায্য করে এমন কিছু ফলের বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক-
2
9
বেরিঃ যে কোনও ধরনের বেরি জাতীয় ফলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। সেই কারণে এটিকে ‘সুপারফুড’ বলা হয়। ব্লুবেরি প্রাকৃতিক উদ্ভিদ রঙ্গক অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ যাতে লিভার-প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব রয়েছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন ব্লুবেরি খেলে লিভার ফাইব্রোসিস এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে। কিডনির জন্য ব্লুবেরি উপকারী।
3
9
আঙুরঃ রেসভেরাট্রল এবং ভিটামিন সি-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আঙুর লিভার ভাল রাখে এবং কিডনিকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে। এগুলি রক্ত পরিশোধনেও সাহায্য করে।
4
9
পেঁপেঃ পেঁপে হজমের জন্য ভাল। পেঁপেতে রয়েছে পাপাইন, যা একটি হজমকারী উৎসেচক। এতে ফ্ল্যাভোনয়েডও রয়েছে যা লিভারকে অ্যামোনিয়া এবং ভারী ধাতুর মতো ক্ষতিকারক পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। সেই কারণেই আগে লিভার পরিষ্কার করার জন্য পেঁপের বীজ ব্যবহার করা হত। এছাড়াও, এর উচ্চ জলের পরিমাণ এবং প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক প্রভাব কিডনির কার্যকারিতাকে বাড়ায়। কিডনি থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতেও সাহায্য করে।
5
9
বেদানাঃ বেদানা রক্ত সঞ্চালনের জন্য ভাল। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে কিডনিরও উপকার করে। বেদানার রস উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের কারণে ডায়ালিসিস রোগীদের কিডনির ক্ষতি কমায়। এই ফলের পলিফেনল লিভারে প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে এবং ফ্যাটি লিভারের মতো রোগ প্রতিরোধ করে।
6
9
অ্যাভোকাডোঃ শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর ফ্যাট নয়, অ্যাভোকাডোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গ্লুটাথিয়ন থাকে, যা লিভারকে বিষাক্ত পদার্থ বার করতে সাহায্য করে। এর পটাসিয়াম উপাদান কিডনিকে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং সুস্থ রক্তচাপের মাত্রা বৃদ্ধি করে সহায়তা করে।
7
9
লেবুঃ লেবুর জল শরীরকে বিষমুক্ত করে। লেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড পিত্ত তৈরি করতে সাহায্য করে। লেবু প্রস্রাবের সাইট্রেট বৃদ্ধি করে কিডনিতে পাথর প্রতিরোধেও সাহায্য করে। সকালে প্রথমে লেবু জল পান করলে লিভার এবং কিডনির কার্যকারিতা ভাল থাকে।
8
9
আপেলঃ ‘প্রতিদিন একটি আপেল ডাক্তারকে দূরে রাখে।’ শুধুই প্রবাদ নয়, এই কথার পেছনে সারবস্তুও রয়েছে। আপেলে পেকটিন থাকে, যা এক ধরণের দ্রবণীয় ফাইবার। এটি পরিপাকতন্ত্রের টক্সিন এবং ভারী ধাতুর সঙ্গে আবদ্ধ হয়। ফলে লিভারের উপর চাপ কমায়।কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়াতেও আপেল সাহায্য করে।
9
9
তরমুজঃ তরমুজ সিট্রুলাইন নামক একটি অ্যামিনো অ্যাসিডে সমৃদ্ধ, যা লিভারকে অ্যামোনিয়া ফিল্টার করতে সাহায্য করে। এটি কিডনিতে চাপ না দিয়ে প্রস্রাবের প্রবাহ বাড়ায়। এর প্রাকৃতিক শর্করা হাইড্রেশন এবং ইলেক্ট্রোলাইট দ্বারা ভারসাম্যপূর্ণ। সেই কারণেই গ্রীষ্মকালের একটি আদর্শ ফল হল তরমুজ।